সংবাদদাতা, কালনা: দু’মাস আগে নাদনঘাটে বিডিও অফিস চত্বরে একটি অনুষ্ঠানে বিরিয়ানি খেয়ে সুমন্ত মল্লিক(৩৪) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনায় মৃত্যুঞ্জয় রায় ও দীপঙ্কর মল্লিক নামে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাদের বাড়ি নাদনঘাটের শ্রীরামপুর ও মালতিপুর এলাকায়। এই দু’জনই ঘটনার দিন বিরিয়ানি এনেছিল। বিডিও অফিসের বাইরে মৃত্যুঞ্জয়ের সাইবার কাফে রয়েছে। দীপঙ্কর বিএলএলআরও অফিস চত্বরে মুহুরির কাজ করত। পুলিশ জানিয়েছে, ২৬সেপ্টেম্বর ওই বিডিও অফিস চত্বরে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন হয়েছিল। বিএলএলআরও অফিসের কয়েকজন আধিকারিক ও মুহুরিরা তাতে অংশ নেন। সুমন্ত ওই চত্বরে মুহুরির কাজ করতেন। সেই অনুষ্ঠানে বিরিয়ানি খেয়ে সুমন্তের পাশাপাশি বিএলএলআরও দপ্তরের রেভিনিউ অফিসার অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয় শ্রীরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে সুমন্তের মৃত্যু হয়। রেভিনিউ অফিসারকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরে তিনি সুস্থ হন। এঘটনায় মৃতের পরিবারের সদস্যরা নাদনঘাট থানায় পরিকল্পিত খুনের অভিযোগ জানান। পুলিশ একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্তে নামে। শনিবার ওই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতরা ওইদিন নবদ্বীপ থেকে বিরিয়ানি এনেছিল। ঘটনার পর খাদ্যসুরক্ষা দপ্তরের টিম খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে। তবে তা থেকে কোনও সূত্র মিলেছে কিনা-সেবিষয়ে পুলিশ মুখ খুলতে চায়নি। কালনার এসডিপিও রাকেশ চৌধুরী বলেন, বিরিয়ানি কাণ্ডে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নাদনঘাটে চাকরির নামে প্রতারণায় হেপাজতে ২: চাকরি দেওয়ার নামে কয়েকলক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারণায় ব্যারাকপুর জেল থেকে দু’জনকে হেপাজতে নিল নাদনঘাট থানার পুলিশ। ধৃত সোহাগ বিশ্বাস ও রাতুল পাল কলকাতার মধ্যমগ্রাম ও বীরভূমের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, নাদনঘাটের নসরৎপুরের বাসিন্দা সংগ্রাম সেনের সঙ্গে ওই প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। এয়ারপোর্টে নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি দেওয়ার নামে এবছরের শুরু থেকে দফায় দফায় তাঁর কাছ থেকে তিনলক্ষ টাকা নেয় সোহাগ। কিন্তু, তারপরেও চাকরি না হওয়ায় সংগ্রামবাবু টাকা ফেরত চাইলে সোহাগ তাঁকে এড়িয়ে যেতে থাকেন। প্রতারিত হয়েছেন বুঝে ৯নভেম্বর সংগ্রামবাবু নাদনঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।