নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালের পুরনো ভবনে বসতে চলেছে অত্যাধুনিক জেনারেটর
বর্তমান | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: দীর্ঘদিনের দাবি মেনে এবার নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালের পুরনো ভবনে বসতে চলেছে নিজস্ব স্থায়ী জেনারেটর। এতদিন হাসপাতালের নিজস্ব কোনও জেনারেটর ছিল না। লোডশেডিং হলে পুরনো ভবনে বেসরকারি সংস্থার তরফে জেনারেটর পরিষেবা মিলত। ফলে জেনারেটরের ভাড়া বাবদ বেসরকারি সংস্থাকে বিপুল টাকা দিতে হত। এবার স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে নতুন জেনারেটর বসানোর অনুমোদন মিলেছে। তাতে খুশি চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে রোগীর পরিজনরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিনের দাবি মেনে এবার স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে জেনারেটরের জন্য বরাদ্দ মিলেছে। খরচ পড়বে প্রায় সাড়ে ২৭ লক্ষ টাকা। ১৬০কেভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন এই জেনারেটরের অনুমোদন মিলেছে। ইতিমধ্যেই পিডব্লুডির ইলেক্ট্রিক দপ্তরের আধিকারিকরা জেনারেটর বসানোর জন্য নির্দিষ্ট জায়গা পরিদর্শন করে গিয়েছেন।
উল্লেখ্য, নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটরটি বহুদিন আগে বিকল হয়ে যায়। তারপর থেকে বেশ কয়েক বছর ধরে লোডশেডিং হলে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালের পুরনো ভবনে ভাড়া করা জেনারেটর দিয়ে কাজ চালাতে হয়েছে। বিনিময়ে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থাকে জেনারেটরের ভাড়া বাবদ বিপুল টাকা দিতে হত। অবশেষে দীর্ঘদিনের দাবি মেনে পুরনো ভবনে সরকারি জেনারেটর বসতে চলেছে।
জানা গিয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে বেসরকারি সংস্থার কাছে জেনারেটর ভাড়া করে হাসপাতালে কাজ চলছে। হাসপাতালের এহেন জেনারেটর-বিপর্যয়ের বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ও জনপ্রতিনিধিদের জানানো হয়েছিল। কোনও কারণে জেনারেটর পরিষেবা বন্ধ থাকলে পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রতিটি ওয়ার্ডে ইমার্জেন্সি আলোর ব্যবস্থা করে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা সামান্যই। অবশেষে দীর্ঘদিনের দাবি মেনে সরকারি জেনারেটর বসতে চলেছে। ভাড়া করা জেনারেটর ম্যানুয়ালি চালান হত। কিন্তু অত্যাধুনিক জেনারেটরটি লোডশেডিং হলে অটোমেটিক চালু হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, এই হাসপাতালে শুধু নবদ্বীপ নয়, পার্শ্ববর্তী পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকেও বহু রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন। পুরনো ভবনটিতে প্রসূতি বিভাগ, মা ও সদ্যোজাত শিশু বিভাগ, আউটডোর, বড় ধরনের অপারেশন থিয়েটার, রেডিওলজিস্ট, স্টোর রুম, প্রশাসনিক ভবন, ব্লাড ব্যাঙ্ক, এক্স-রে মেশিন এবং প্রতীক্ষালয় রয়েছে। নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার অনঘ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাদের ব্লাড ব্যাঙ্কও চালাতে হয়। সুতরাং, ১৬০কেভিএ জেনারেটর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক এবং রোগীর চিকিৎসা, দু’ধরনের উদ্দেশ্যই পূরণ করবে।
নবদ্বীপ হাসপাতাল রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য তথা নবদ্বীপ পুরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, বিষয়টি নিয়ে বারবার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। এই জেনারেটর এলে সরকারি কোষাগারের অনেক টাকা সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি, পরিষেবাও আরও উন্নত হবে।