• বনগাঁ পুরসভায় অচলাবস্থা অব্যাহত, বেতন পেলেন না ৪০০ অস্থায়ী কর্মী
    বর্তমান | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত ও সংবাদদাতা, বনগাঁ: নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও বেতন পেলেন না বনগাঁ পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরা। বেতন কবে মিলবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে। সূত্রের খবর, এই পর্বে ‘অব্যবস্থা’ কাটাতে তৃণমূল নেতৃত্ব বৈঠক করতে চলেছেন। সেখানেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার সিদ্ধান্ত হতে পারে।

    একমাসের বেশ সময় ধরে চূড়ান্ত অব্যবস্থা চলছে বনগাঁ পুরসভায়। এর জেরে ভোগান্তি বাড়ছে মানুষের। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ‘ছুটি’ নেওয়া চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ এখনও ফেরেননি। নেই  ভাইস-চেয়ারম্যানও। হয়নি বোর্ড মিটিং। ফলে শহরে বাড়ি তৈরির আবেদনের অনুমতি আটকে। অস্থায়ী কর্মীরা ৫ তারিখও বেতন পেলেন না। পুরকর্তারা আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছেন। দোলাচলের অবসান কবে হবে সেই উত্তর নেই কারও কাছেই। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে নির্মাণের ক্ষেত্রে পুরসভার প্ল্যান পাশ করা বাধ্যতামূলক। বোর্ড মিটিংয়ে অনুমোদন পেলে তবেই ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়। বর্তমানে বনগাঁ পুরসভায় ভবন নির্মাণের প্ল্যানের আবেদন জমা রয়েছে। আইন অনুযায়ী বোর্ড মিটিং না হওয়ায় অনুমতি দেওয়া হয়নি। প্রতিমাসে ন্যূনতম দুটি বোর্ড মিটিং হয়। কিন্তু গত একমাসে একটিও বোর্ড মিটিং হয়নি পুরসভায়। ৩১ অক্টোবরের পর সেই মিটিং ঘরে কার্যত তালা ঝোলার মতো অবস্থা! 

    পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের বেতনের ক্ষেত্রেও চেয়ারম্যানের ভূমিকা রয়েছে। ফলে, চেয়ারম্যান নিয়ে জটিলতা চলায় সাফাই কর্মী সহ অস্থায়ীদের বেতন হল না। 

    পুরসভায় অস্থায়ী কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৪০০। এরমধ্যে সিংহভাগ সাফাই কর্মী। প্রতিমাসের ৫ তারিখের মধ্যে অস্থায়ী কর্মীদের বেতন হয়। ডিসেম্বরের শুক্রবার, নভেম্বর মাসের বেতন পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হল না। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, উনি অসুস্থতার কারণ দেখিয়েছেন। ১৫ দিনের মধ্যে চেয়ারম্যানকে দায়িত্বে আসতে হয়। উনি আসেননি। তাই তিন কাউন্সিলাররা অনাস্থা আনতে পারেন। বোর্ড মিটিং ডেকে চেয়ারম্যানের সদস্যপদ খারিজ করতে পারেন। পুরসভার এগজিউটিভ অফিসার সুরেশচন্দ্র হীরা বলেন, চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বোর্ড মিটিংয়ে অনুমতি ছাড়া ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়া যায় না। কিছু আবেদন জমা আছে। 

    এনিয়ে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, বিষয়টি তো আইনি। তাই প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে। তাছাড়া চেয়ারম্যানের উচিত ছিল দলের নির্দেশ মানা। তবে, নাগরিক পরিষেবা যাতে বিঘ্নিত না হয় সেই দিকটা আমরা নজর দেব। দ্রুত এনিয়ে পদক্ষেপ করব। এনিয়ে পুরসভার এক কর্মী বলেন, এখনও টাকা পেলাম না। এই কাজ করে আমাদের সংসার চলে। আমাদের যন্ত্রণার দ্রুত মুক্তি দরকার।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)