তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের জালে ২ বিজেপি কর্মী, উদয়নারায়ণপুরের গ্রামে বিজেপির প্রতিনিধি দল
বর্তমান | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: শুক্রবার বিকেলে ছিল বিজেপির পরিবর্তন সভা। তাকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল উদয়নারায়ণপুরের কানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মানিকুরা গ্রাম। বাইক ভাঙচুরের করা হয়, পাশাপাশি বাইকে আগুনও দেওয়া হয়। সংঘর্ষে রক্তাক্ত হয়েছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুশোভন শেঠ। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে শুক্রবার রাতে বিক্রম হাজরা এবং অজয় দলুই নামে দুই বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করল পেঁড়ো থানার পুলিশ। ধৃতদের শনিবার উলবেড়িয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। তবে এদিন আদালতে যাওযার পথে ধৃতেরা দাবি করেন, ঘটনার সময় তাঁরা ঘটনাস্থলে ছিলেনই না। তাঁদের অভিযোগ, শুক্রবার বহিরাগতদের নিয়ে তৃণমূলই প্রথম হামলা চালিয়েছে।
এদিকে, আহত উপপ্রধান সুশোভন শেঠের অভিযোগ, আমি ও আমার এক বন্ধু দু’টি বাইকে চেপে ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখনই বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা অতর্কিতে আমাদের দু’জনের উপর লাঠি, লোহার রড নিয়ে হামলা চালান। আমার মাথায় ছ’টি সেলাই পড়েছে। আমাদের বাইকও ভাঙচুর করেছেন। আমার বন্ধুর বাইকে আগুন ধরিয়ে দেন।
অন্যদিকে, এদিন বিকেলে পোঁড়ো থানার পাশাপাশি মানিকুরা গ্রামে যায় বিজেপির এক প্রতিনিথি দল। প্রতিনিধি দলটিতে ছিলেন বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ জেলা সভাপতি দেবাশিস সামন্ত, সাধারণ সম্পাদক রমেশ সাঁধুখা প্রমুখ। রমেশ সাঁধুখা অভিযোগ করেন, শুক্রবার উপপ্রধান ও পুলিশ পরিকল্পনা করে আমাদের পরিবর্তন সভা বন্ধ করেছে। পাশাপাশি তৃণমূল আমাদের কর্মীদের উপর হামলাও চালিয়েছে। অথচ আমাদেরই ২৩ জনের নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। অবিলম্বে সবাইকে নিঃশর্তে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
যদিও বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন বিধায়ক সমীর পাঁজা। তিনি বলেন, উদয়নারায়ণপুরে বিজেপিকে দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হবে। সেই কারণে প্রচারের আলোয় আসার জন্য বিজেপি এমন মিথ্যা অভিযোগ করছে। নিজস্ব চিত্র