এসআইআর চলবে ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত। তার পরেই ভোট ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। এই গোটা পর্বে জেলা প্রশাসনগুলি যে ভাবে ব্যস্ত রয়েছে, তাতে সরকারি কাজ চললেও, তার প্রচারে ভাটা পড়ছে। ভোটের আগে এ সবের নিবিড় প্রচার চাইছে নবান্ন। শনিবার জেলাশাসকদের সঙ্গে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের বৈঠকে প্রচারেই বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর।
আগের ১২ লক্ষ ছাড়াও, নতুন করে প্রায় ১৬ লক্ষ উপভোক্তাকে বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। এই ১৬ লক্ষ উপভোক্তাকে প্রথম কিস্তির বরাদ্দ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। পথশ্রী প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ের কাজও শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রধানত গ্রামীণ এলাকায় রাস্তা তৈরি বা সংস্কার করা হবে। সূত্রের দাবি, বলা হয়েছে মূলত নতুন রাস্তার ক্ষেত্রে এক দিনেই সব শিলান্যাসের চেষ্টা করতে হবে। তার পরেই এলাকার জনপ্রতিনিধি, নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য, সরকারি কর্মচারী এবং গ্রামবাসী মিলিয়ে অন্তত ৫০০ জনকে নিয়ে গ্রামে গ্রামে বৈঠক ডাকবেন জেলাশাসক। তার অর্ধেক হবেন মহিলা। এমন বৈঠক করতে হবে ব্লক, মহকুমা, জেলা স্তরেও।
সূত্রের দাবি, এখন থেকেই প্রচার তুঙ্গে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে বৈঠকে। বলতে হবে, রাজ্য সরকারই একমাত্র এই কাজ করছে। প্রচার-লিফলেট, মাইক-প্রচার, হোর্ডিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে। গত প্রায় ১৫ বছরে সরকারি কাজের ‘রিপোর্ট কার্ড’ ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৈরি হয়েছে ‘উন্নয়নের পাঁচালি’। সেগুলি ভোটারের কাছে পৌঁছোনোও সরকারের চ্যালেঞ্জ। এক জেলা-কর্তার কথায়, “প্রতিটি মানুষের কানে যাতে একাধিক বার সরকারি কাজের তথ্য পৌঁছয়, তা নিশ্চিত করতে চাইছে নবান্ন।” সরকারি সূত্রের দাবি, পথশ্রী-৪ প্রকল্পে নতুন-পুরনো মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটার রাস্তার কাজ ধরা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলেছেন, পথশ্রী প্রকল্পে প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৬০ হাজার কিলোমিটার রাস্তা করা হয়েছে এত দিনে। ২০১১ সাল থেকে তৈরি হয়েছে প্রায় ১.৩০ লক্ষ গ্রামীণ রাস্তা। ফলে এগুলি প্রচারের সম্ভাবনা প্রবল।