স্টাফ রিপোর্টার: মানুষ হোক বা কুকুর। চিকিৎসা ব্যবস্থায় আধুনিকতার নিরিখে দেশের মধ্যে প্রথম কলকাতাই। প্রথম রোবোটিক কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট হয়েছিল কলকাতায়। আর এবার পশু চিকিৎসাতেও একের পর এক আধুনিক পদ্ধতির প্রয়োগ করছে কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কের অ্যানিম্যাল হেলথ প্যাথোলজি ল্যাব। সংস্থার কর্ণধার প্রতীপ চক্রবর্তীর দাবি, পূর্বভারতে প্রথম কলকাতায় হল কুকুরের চোখের আল্ট্রাসাউন্ড।
কলকাতায় এতদিন পশুর চোখের বি স্ক্যান অকুলার আলট্রাসাউন্ড হত না। এই পরীক্ষায় চোখের ভিতরের সব অংশ দেখা সম্ভব, যা চোখের সাধারণ পরীক্ষায় দেখা যায় না। নিউটাউনের বাসিন্দা সৌরভী দাসের পোষ্যর চোখের সমস্যা কয়েকদিন ধরেই। ঠিকমতো দেখতে পাচ্ছিল না সে। বেলগাছিয়া পশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। চোখের বি আল্ট্রাসাউন্ড করতে হবে। কিন্তু কোথায় হবে? প্রতীপ চক্রবর্তীর কথায়, শহর কলকাতায় একমাত্র কুকুরের চোখের আল্ট্রাসাউন্ড হয় অ্যানিম্যাল হেলথ প্যাথোলজি ল্যাবে। সৌরভী দাসের পোষ্য জাতে আকিতা। জাপানের একটি বিশেষ কুকুরের জাত। আকারে পেল্লায়। এর মূল উৎপত্তি জাপানের আকিতাপ্রিফেকচার। সেই থেকেই থেকে ওই নাম। রীতিমতো বেডে শুইয়ে চোখের আল্ট্রাসাউন্ড করা হল তার।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই পদ্ধতিতে উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির আল্ট্রাসাউন্ড ওয়েভস চোখে পাঠানো হয়, আর তার প্রতিফলন থেকে চোখের ভিতরের ছবি পাওয়া যায়। একে চোখের টু-ডি আল্ট্রাসাউন্ডও বলা হয়। কখন প্রয়োজন কুকুরের চোখের বি স্ক্যান? কুকুরের চোখে ঘন ছানি পড়লে, ভিট্রিয়াস হেমারেজ (চোখে রক্তক্ষরণ) হলে বা রেটিনার যে কোনও সমস্যায় চোখের বি স্ক্যান জরুরি। এমনকী পোষ্যর চোখে কোনও ফরেন বডি ঢুকে গেলে তাকেও শনাক্ত করতে পারবে বি স্ক্যান। প্রতীপ চক্রবর্তীর কথায়, “পশুর চিকিৎসাতেও শহর কলকাতা এখন পিছিয়ে নেই।”