সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোয়ার জনপ্রিয় নৈশক্লাবে পার্টি চলাকালীন অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যুতে তোলপাড় গোটা দেশ। বেআইনিভাবে নির্মাণ, সংকীর্ণ প্রবেশপথ-ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠছে ক্লাবের বিরুদ্ধে। এবার সেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন ক্লাবের এক নর্তকী। আগুনের গ্রাস থেকে বেঁচে ফিরতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করছেন তিনি।
উত্তর গোয়ার আরপোরায় বাগা সুমদ্র সৈকতের কাছে অবস্থিত জনপ্রিয় এই নৈশক্লাবটির নাম বির্চ। শনিবার পার্টি চলাকালীন আচমকাই আগুন ধরে যায় সেখানে। অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয় অগ্নিদগ্ধ হয়ে। ক্রিস্টিনা নামের এক নর্তকীর পারফরম্যান্স চলাকালীনই আগুন ধরে যায় ক্লাবে। কোনওমতে প্রাণ হাতে করে বেরিয়ে আসেন কাজাখস্তানের নাগরিক ক্রিস্টিনা। সাক্ষাৎ মৃত্যুকে এড়িয়ে তিনি বলছেন, “বেঁচে থাকাটাই সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ।”
ক্রিস্টিনা জানাচ্ছেন, শনিবার রাতে তিনি যখন দ্বিতীয়বার পারফর্ম করতে ওঠেন তখনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। ভয়ংকর স্মৃতি হাতড়ে তিনি বলেন, “আমার পারফরম্যান্স চলাকালীনই বোধহয় শর্ট সার্কিট হয়। হঠাৎ মিউজিক বন্ধ হয়ে যায়। বুঝতে পারছিলাম না কী করব। আমার মাথা বনবন করে ঘুরছে, খুব কাঁদছিলাম।” মঞ্চ থেকে নেমে প্রথমে পোশাক বদলাতে গ্রিন রুমের দিকে যাচ্ছিলেন। সেসময়ে ক্লাবের এক কর্মী তাঁকে বাধা দেন। ক্রিস্টিনার কথায়, ওই কর্মীর কথাতেই তাঁর প্রাণরক্ষা হয়েছে।
ক্লাব থেকে কোনওমতে বাড়ি ফেরেন ক্রিস্টিনা। ঘরে ঢুকেই জড়িয়ে ধরেন কন্যাকে। সেই সময় উপলব্ধি করতে পারেন, কত বড় বিপদ থেকে উদ্ধার পেয়েছেন। বিদেশিনী নর্তকীর কথায়, “বেঁচে থাকাটাই সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ। আমি এজন্য খুব কৃতজ্ঞ বোধ করছি।” ক্রিস্টিনের নাচের সময় ক্লাবে আগুন ধরে যাওয়ার ভিডিও এখন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। তবে ক্রিস্টিন বেঁচে ফিরলেও আগুনের করাল গ্রাসে চলে গিয়েছে ২৫টি প্রাণ। দায় কার? উত্তর অজানা।