• ইএমআই-এ দামি ফোন কিনে দেয়নি বাবা, ঝাড়খণ্ডে অভিমানে আত্মঘাতী যুবক!
    প্রতিদিন | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রুস্তম কোথায়! খুঁজেই পাচ্ছিল না কেউ। খুঁজতে খুঁজতে কুয়োর মধ্যে দেখেই শিউরে ওঠেন সবাই। দেখা যায়, গভীর কুয়োর ভিতর পড়ে রয়েছেন ওই যুবক। গভীরতা এতটাই বেশি যে সেখান থেকে উদ্ধার করা কারও পক্ষে সম্ভব ছিল না। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল বাহিনী। প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে চেষ্টা করার পর ১৪০ ফুট গভীর কুয়ো থেকে উদ্ধার হয় ২০ বছরের ঝাড়খণ্ডের ওই যুবকের দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, বাবা ফোন কিনে দিতে রাজি না হওয়ায় চরম সিদ্ধান্ত নেন ওই যুবক।

    চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের ভুজে। মৃত যুবকের নাম রুস্তম শেখ। জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন বাবাকে ফোন কিনে দেওয়ার আব্দার করেছিলেন পেশায় শ্রমিক ওই যুবক। একটি দামি ফোনের দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর দাবি ছিল, ইএমআই-তে ফোনটি কিনে দিতে হবে তাঁকে। কিন্তু বাবা সেই প্রস্তাবে রাজি হননি। আর তার কিছুক্ষণ পরই এই ঘটনা ঘটে।

    জানা গিয়েছে, আশাপুরা হিল এলাকায় রুস্তম শ্রমিকের কাজ করতেন। সেখানেই এই ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ওই যুবককে কুয়োর মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সারা রাত, যতক্ষণ উদ্ধারকাজ চলে, ততক্ষণ ধরে রুস্তমকে অক্সিজেন জোগান দেওয়া হয়। পাইপলাইনের মাধ্যমে দেওয়া হয় ওই অক্সিজেন। পাশাপাশি ক্যামেরার মাধ্যমে কুয়োর ভিতরে যুবকের অবস্থান দেখা হয়। স্থানীয় বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে সেনাকর্মীরা নিযুক্ত ছিলেন ওই উদ্ধারকাজে।

    দমকলের ১৫ জন সদস্য উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছিলেন। ভোর ৩ টে নাগাদ কোনও ক্রমে তাঁকে উদ্ধার করা হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে তাঁকে ভুজের জিকে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছিল এনডিআরএফও। পুলিশ জানিয়েছে, বাবা ফোন কিনতে বাধা দেওয়াতেই কুয়োয় ঝাঁপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই যুবক।
  • Link to this news (প্রতিদিন)