ভুবনেশ্বর: বাড়ির মধ্যে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওড়িশার সুন্দরগড়ের বাসিন্দা তথা দ্বিতীয় বর্ষের এক কলেজ ছাত্রী। অভিযোগ, হেনস্তার শিকার হয়েছেন তিনি। সেই অপমানেই চরম সিদ্ধান্ত। বিজেপি শাসিত ওড়িশায় গত ৬ মাসে ৫ বার এমন ঘটনা ঘটল।
গত জুলাই মাসে কলেজের মধ্যেই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হন ওড়িশার এক ছাত্রী। ঘটনায় উত্তাল হয় গোটা দেশ। মৃত ছাত্রীর অভিযোগ ছিল, কলেজের এক অধ্যাপক তাঁকে হেনস্তা করেছেন। ঘটনায় কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ না করায় ক্যাম্পাসেই গায়ে আগুন দেন তিনি। মৃত্যু হয় হাসপাতালে। যদিও পরে অভিযুক্ত অধ্যাপককে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাজ্যের আরও চার জায়গায় একই ধরনের ঘটনা ঘটে। প্রতি ক্ষেত্রেই অভিযোগ ছিল, হেনস্তার জেরে অপমানিত হয়ে আত্মহত্যা করছেন ছাত্রীরা। সুন্দরগড়ের ঘটনাও ব্যতিক্রম নয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার রাতে নিজের বাড়িতে গায়ে আগুন দেন ওই ছাত্রী। সেইসময় বাড়ির লোকজন ঘুমাচ্ছিলেন। চিৎকার শুনে জেগে ওঠেন সকলে। তরুণীকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ততক্ষণে অবশ্য তাঁর শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে, তবে অবস্থা সংকটজনক। ঘটনার পর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে তরুণীর পরিবার। তদন্তে নেমে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত যুবক দীর্ঘদিন ধরেই তরুণীকে হেনস্তা করত বলে জানা গিয়েছে। বারবার এই ধরনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্যের নারী সুরক্ষা।