• আজ লোকসভায় ‘বন্দেমাতরম’ আলোচনা, শুরু করবেন মোদি
    বর্তমান | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ৯ বনাম ৩২ লাইন। দুটি বনাম ছটি স্তবক। বন্দেমাতরম গানের সার্ধশতবর্ষের বিশেষ আলোচনায় আজ সোমবার সংসদে ঝড় ওঠার সম্ভাবনাই দেখছে রাজনৈতিক মহল। আজ লোকসভায় জাতীয় গীত ‘বন্দেমাতরম’ নিয়ে হবে বিশেষ আলোচনা। আগামী কাল রা‌জ্যসভায়। লোকসভায় চর্চা আরম্ভ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শেষ করবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। রাজ্যসভায় শুরু করবেন অমিত শাহ। শেষ করবেন জেপি নাড্ডা। 

    আর এই আলোচনা ঘিরেই ‘দেশাত্ববোধ’ ইস্যুতে বিজেপি বনাম কংগ্রেসের বিবাদেরই আশঙ্কা প্রবল। কারণ, বিজেপির অভিযোগের আঙুল কংগ্রেসের দিকে। কেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা বন্দেমাতরম গানের ৩২ লাইনের ছটি স্তবকই গাওয়া হয় না? কেন কংগ্রেস বাদ দিয়েছে শেষ চারটি স্তবক? গাওয়া হয় দুটি? যদিও কংগ্রেসের পালটা যুক্তি, গান্ধীজি, নেতাজি, সর্দার প্যাটেল, জওহরলাল নেহরুর মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীরাই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সেটি ঠিক করেছিলেন। এবং সর্বোপরি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৮৬ সালে কংগ্রেস অধিবেশনে কলকাতায় গেয়েছিলেন বন্দেমাতরম। আর গানের প্রথম দুটি শব্দ ‘বন্দে মাতরম’ স্লোগান হিসেবে গৃহীত হয় ১৯০৫ সালের ৭ আগস্ট। ফলে মোদি যতই কংগ্রেসকে টার্গেট করুন না কেন, কংগ্রেসও তৈরি। 

    কংগ্রেসের হয়ে লোকসভায় বন্দেমাতরমের আলোচনায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং উপদলনেতা গৌরব গগৈ বলবেন বলেই জানা গিয়েছে। তৃণমূলের বক্তা তথা দলের লোকসভার মুখ্যসচেতক কাকলি ঘোষদস্তিদার তৈরি বিজেপি সরকারকে চেপে ধরার জন্য। তৃণমূলের পক্ষে মহুয়া মৈত্রকেও দল বক্তার তালিকায় রেখেছে। আগামী কাল রাজ্যসভায় তৃণমূলের এই বিশেষ আলোচনায় বক্তা সুখেন্দুশেখর রায় এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। - ফাইল চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)