• ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে পরিষেবা, ১৬৫০ ফ্লাইট চালালো ইন্ডিগো, বাতিল ৬৫০টি
    বর্তমান | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: হেনস্তার ষষ্ঠ দিন। এখনও বিমানবন্দরে কেউ চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে। কেউ ক্লান্ত চোখে-মুখ অপেক্ষায়। কোথাও আবার ট্রাভেল ব্যাগের পাহাড়। এরইমাঝে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি। দৈনিক ২ হাজার ৩০০টি উড়ান পরিচালনা করে ইন্ডিগো। লাগাতার বিভ্রাটের মাঝেও রবিবার ১৬৫০টি ফ্লাইট ওঠানামা করেছে। বাতিল ছিল ৬৫০টি। এক বিবৃতিতে বিমান সংস্থা ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে। শনিবার ইন্ডিগোর প্রায় ৮০০টি উড়ান বাতিল হয়েছিল। এদিন বাতিল উড়ানের সংখ্যা কমায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। রবিবার রাত আটটার ডেডলাইন বেঁধে বাতিল টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। সেইমতো কাজ শুরু করে দিয়েছে ইন্ডিগো। সংস্থার বক্তব্য, এপর্যন্ত মোট ৬১০ কোটি টাকা ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।  যাত্রীদের প্রায় তিন হাজার ব্যাগ ফেরত দেওয়া হয়েছে। 

    ইন্ডিগোর পরিষেবায় বিভ্রাটের দায় ঘিরে চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও। মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত মনোপলি মডেল তথা একচেটিয়া ব্যবসা নীতির জন্যই এই পরিস্থিতি। আর তার খেসারত দিচ্ছে আমজনতাকে।’ এবার পালটা জবাবে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রামমোহন নাইডু বলেছেন, ‘এটা কোনও রাজনৈতিক বিষয় নয়। জনসাধারণের সমস্যা। একচেটিয়া নীতি নয়। বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে সুস্থ প্রতিযোগিতা বাড়াতে সচেষ্ট সরকার। আমাদের লক্ষ্য, এই ক্ষেত্রের পরিসর যেন আরও বাড়ে, বিমান সংস্থাগুলি আগ্রহ দেখায় এবং বিমানের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পায়। সেকথা মাথায় রেখেই লিজিং খরচ কমাতে আইনও প্রণয়ন করা হয়েছে।’ 

    চাপের মুখে পড়ে বিমানকর্মী ও পাইলটদের কাজের সময়সীমা সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রত্যাহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী। তাঁর দাবি, সাময়িকভাবে বিষয়টি স্থগিত রাখা হয়েছে। শীঘ্রই আগের নিয়ম চালু হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই অব্যবস্থার যথাযথ ব্যাখ্যা চেয়ে ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্সকে শো কজ নোটিশ ধরিয়েছে ডিজিসিএ। সূত্রে খবর, এনিয়ে বিমান সংস্থার আধিকারিক ও ডিজিসিএ-র ডিরেক্টর জেনারেলকে তলব করতে চলেছে পরিবহণ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি। 
  • Link to this news (বর্তমান)