• অসমের বাজেট নিয়ে প্রশ্ন, ক্যাগের রিপোর্ট ঘিরে বিরোধীদের নিশানায় বিজেপি সরকার
    বর্তমান | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • বিশেষ সংবাদদাতা, গুয়াহাটি : বাজেট নিয়েই প্রশ্ন।  সম্প্রতি কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ক্যাগ)-এর রিপোর্ট ঘিরে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে অসমের বিজেপি সরকার। রিপোর্টে বলা হয়েছে, আর্থিক ঘাটতি হ্রাসে অসম সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। ক্যাগ ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে হিমন্ত বিশ্বশর্মা সরকারের বাজেটকে ‘অবাস্তব ও অতিরঞ্জিত’ বলে অভিহিত করেছে। রিপোর্টে আর্থিক অনিয়ম ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, তথ্য গোপন রেখে রাজ্যের মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বিজেপি সরকার। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে সরকার দাবি, অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। উদ্বেগের কিছু নেই। 

    সম্প্রতি প্রকাশিত ক্যাগের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বরাদ্দ ১,৬৯,৯৬৬.১৩ কোটি টাকার মধ্যে খরচ হয়েছে ১,৩৯,৪৪৯.৬৬ কোটি টাকা। এতে মনে হতে পারে, প্রায় সাড়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা বা মোট বরাদ্দের ১৭.৯৫ শতাংশ বেঁচে গিয়েছে। যদিও ক্যাগ বলছে, তা শুধু কাগজ কলমেই। যে পরিমাণ বরাদ্দ হয়েছিল, সেই পরিমাণ অর্থ কোষাগারেই ছিল না। অর্থাৎ বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়ে চড়িয়ে দেখানো হয়েছিল। এমনকি টাকার অভাবে সরকারের বেশ কয়েকটি বিভাগ বরাদ্দকৃত অর্থও পায়নি! ক্যাগের এই রিপোর্ট সম্পর্কে অসমের বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়া বলেছেন, ‘বিজেপি তাদের জনপ্রিয়তা বাড়াতে অসমবাসীর উপর আর্থিক বোঝা চাপিয়ে যাচ্ছে। রাজস্ব ঘাটতি নিয়ে ক্যাগের সতর্কতা উপেক্ষা করা হচ্ছে।’

    ঋণের মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি নিয়েও সতর্ক করা হয়েছে ক্যাগের রিপোর্টে।  ২০০৫-০৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৫০টি বিভাগের প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকার হিসাব সরকারের হাতেই নেই। উল্লেখযোগ্যভাবে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে ব্যয় কমিয়েছে অসম সরকার। আর্থিক ঘাটতিও কম করে দেখানোর অভিযোগ উঠে এসেছে ক্যাগের রিপোর্টে।  অসম জাতীয় পরিষদের সভাপতি লুরিনজ্যোতি গগৈ জানান, ‘অসমের আর্থিক ব্যবস্থা দিনেদিনে গভীর সংকটের দিকে যাচ্ছে। উন্নয়নের ঢাকঢোল পেটানো বিশ্বশর্মা সরকারের সময়ে ঋণের বোঝা বেড়েছে। কেন্দ্রের পাঠানো অর্থ কৃষি বা অন্যান্য উন্নয়ন ক্ষেত্রে ব্যয় না করে ভোট কেনার কারনে ব্যয় হচ্ছে। ক্যাগের রিপোর্ট রাজ্য সরকারের চূড়ান্ত অব্যবস্থা, অদক্ষতার ফল’। 
  • Link to this news (বর্তমান)