• বসিরহাটে যুবককে গুলি করে খুন, মৃত্যু নিশ্চিত করতে অস্ত্রের কোপ
    বর্তমান | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত ও সংবাদদাতা, বসিরহাট: বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক যুবককে গুলি করে খুনের অভিযোগ উটল বসিরহাটে। পাশাপাশি তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত করা হয়েছে। শনিবার রাতে এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটে বসিরহাটের নিমদাঁড়িয়া-কোদালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ফতুরাটি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম আসাদুল মণ্ডল (২৮)। তিনি মধ্যমগ্রামের একটি আবাসনে হাউস কিপিংয়ের কাজ করতেন। খুনের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলো আমির হোসেন মণ্ডল ও রাজ্জাক গাজি। তাদের বাড়ি ওই এলাকাতেই। উত্তেজিত জনতা রবিবার সকালে দুই অভিযুক্তের বাড়িতে হামলা চালায়। আমিরের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। রাজ্জাকের মুরগির দোকানে লুটপাটের পাশাপাশি আগুনও লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে বসিরহাট থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ক’দিন আগে বাড়িতে আসেন প্রতিবন্ধী যুবক আসাদুল। শনিবার রাতে প্রতিবেশী আমিন ফোন করে আসাদুলকে। এরপর তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় আমিনুল। পরে তাঁকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে গলায় গুলি করে খুন করা হয়। রবিবার সকালে একটি পরিত্যক্ত বাঁশবাগানে তাঁর দেহটি দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। চারদিকে রক্তের দাগ। খবর দেওয়া হয় বসিরহাট থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে। বসিরহাট থানার পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আমির ও রাজ্জাককে গ্রেফতার করে। 

    এলাকার বাসিন্দারা অভিযুক্তদের বাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি তাদের একটি মুরগির দোকানে লুটপাট ও ভাঙচুর করে। দোকানে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনকয়েক আগে ঋণের টাকা মেটানো নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে আসাদুলের অশান্তি হয়। তার জেরেই তাঁকে খুন করা হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। মৃতের স্ত্রী পারভিনা গাজি বলেন, ‘ওরা আমার স্বামীকে পরিকল্পনা করে খুন করেছে। আমার স্বামী ছিলেন পরিবারে একমাত্র উপার্জনশীল। মধ্যমগ্রামের একটি আবাসনে হাউস কিপিংয়ের কাজ করতেন। শারীরিকভাবে তিনি অসুস্থ। দোষীদের ফাঁসির দাবি জানান তিনি। বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান বলেন, ধৃতদের নিজেদের হেপাজতে নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদের কারণে এই খুন বলে মনে হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)