দুর্ঘটনা ঠেকাতে পুলিশের নয়া ‘অস্ত্র’ চা আর বিস্কুট
বর্তমান | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: সচরাচর লাঠি বা বন্দুক হাতে ডিউটি করতে দেখা যায় পুলিশকে। কিন্তু শীতের মরশুমে ‘অস্ত্র’ বদলেছেন ঊর্দিধারীরা। রাস্তায় দুর্ঘটনা কমাতে হাতে চা ও বিস্কুট নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছে পুলিশ। উদ্দেশ্য দুর্ঘটনায় লাগাম টানা। টর্চ জ্বালিয়ে দাঁড় করানো হচ্ছে গাড়ি। তারপর চালক ও খালাসির হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে গরম চা ও বিস্কুট। পাশাপাশি তাঁদের পথ নিরাপত্তা নিয়ে কিছু পরামর্শও দিচ্ছেন তাঁরা। এতে দুর্ঘটনা কমানো যাচ্ছে বলেই দাবি পুলিশের।
রাতে পণ্যবাহী গাড়ির চলাচল বেশি হয়। চালকরা টানা ড্রাইভিং করেন। তাতে ক্লান্তি বাড়ে। ফাঁকা রাস্তায় চোখে নেমে আসে ঘুম। আর তখনই ঘটে বিপদ। এই বাস্তবতা মাথায় রেখে এগিয়ে এল জেলা পুলিশ। বারাসত পুলিশ জেলার উপর দিয়ে গিয়েছে ৩৪ এবং ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক ও টাকি রোড। তিনটি রাস্তাই যথেষ্ট ব্যস্ত। থাকে আন্তর্জাতিক ব্যবসার গাড়িও। তাই রাস্তার বেশ কয়েকটি চেকপোস্টে রাতভর নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়াররা। রাত ১০ টার পর পথচলতি ট্রাক থামিয়ে চালকদের অবস্থার খোঁজ নিচ্ছেন তাঁরা। প্রয়োজন মনে হলে বিশ্রাম নিতে বলছে পুলিশ। জোর করে গাড়ি না চালানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এরপরেই চালক ও খালাসিদের দেওয়া হচ্ছে চা ও বিস্কুট। পুলিশের দাবি, এতে শরীর সতেজ থাকে। ক্লান্ত চোখ চাঙ্গা হয়। কাজের চাপ কিছুটা কমে। নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছনো সহজ হয়।
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, বারাসত, হাবড়া, শাসন বা আমডাঙা সহ সাতটি থানা এলাকাতেই এই কাজ শুরু হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের কর্তারা বলছেন, শীত পড়লেই রাতে দুর্ঘটনার হার বাড়ে। বাড়ে ট্রাকের গতিও। কুয়াশায় সমস্যায় পড়েন চালকরা। তাই চালকদের সচেতন ও নিরাপদ যাত্রার জন্যই এটা ধারাবাহিকভাবে চলছে। কুয়াশা বাড়লে স্পিড কমাতেও বলা হচ্ছে। কারণ, রাস্তার লেন চিহ্ন পরিষ্কার দেখা যায় না। এনিয়ে বারাসত পুলিশ জেলার সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খাড়িয়া বলেন, চালকদের ভুলে অনেকক্ষেত্রে পথ দুর্ঘটনা ঘটে। আমরা তা হতে দেব না। সেই জন্য রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতন করা হচ্ছে। পাশাপাশি চালক ও খালাসিদের চা ও বিস্কুট দেওয়া হচ্ছে। এতে করে দুর্ঘটনার প্রবণতা কমানো যায়। এটা আমরা চালিয়ে যাব।