বসবে নতুন আলো, মাটি ফেলে হবে সবুজায়ন, ভোল বদলে যাচ্ছে যোধপুর পার্ক লেকের
বর্তমান | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অনেক জায়গাতেই ওয়াক ওয়ে ভাঙাচোরা। নেই পর্যাপ্ত আলো। বৃষ্টিতে পার্কের ভিতরে নীচু জায়গায় জল জমে যায়। তাই যোধপুর পার্ক লেক এবং লেক সংলগ্ন পার্কের হাল ফেরাতে তৎপর হয়েছে কলকাতা পুরসভা। ধাপে ধাপে কাজ চলছে কয়েক বছর ধরে। পার্ককে নতুন করে সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে নতুন ওয়াক ওয়ে বা হাঁটার রাস্তা। মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে পার্কের নীচু অংশ। প্রথম পর্যায় এবং দ্বিতীয় পর্যায় মিলিয়ে প্রায় ২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে এই কাজের জন্য।
ঢাকুরিয়া লেকের পর দক্ষিণ কলকাতায় যোধপুর পার্ক লেক প্রকৃতিপ্রেমীদের অন্যতম পছন্দের জায়গা। কিন্তু কয়েক বছর আগেও এই লেকের হাল খুব একটা ভালো ছিল না।
লেকের চারপাশ দিয়ে হাঁটার সুযোগ ছিল না। ছিল জবরদখলও। এসব কারণে
স্থানীয় বাসিন্দারা কেউ এখানে প্রাতর্ভ্রমণে আসতেন না। সংস্কারের প্রথম পর্যায়ে লেকের চারপাশে হাঁটার রাস্তা তৈরি করা হয়। রেলিং দিয়ে ঘিরে সাজানো হয় লেকের ধার। বিভিন্ন জায়গায় লেকের ভেঙে পড়া পাড় শালবল্লা দিয়ে বাঁধানো হয়। সরানো হয় দখলদার। ফলে এখন স্থানীয় লোকজনের আনাগোনা বাড়ছে এই চত্বরে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে কয়েকশো লরি মাটি ফেলা হচ্ছে লেক সংলগ্ন পার্কের নীচু জমিতে। এরপর সেখানে গাছ লাগানো হবে। বিভিন্ন জায়গায় লেকের ভাঙা রেলিং লাগানো হবে নতুন করে। নতুন করে তৈরি হবে পাঁচিলও। লেকের চারপাশ বসবে ফুটলাইট এবং বাতিস্তম্ভ। পার্কের একপাশে একটি শৌচালয় তৈরির সিদ্ধান্তও হয়েছে।
এই জায়গায় এখন নিয়মিত সকালে হাঁটতে আসেন স্থানীয় বাসিন্দা রঞ্জিত বেরা। তিনি বলছিলেন, ‘পাড়ার মধ্যে এত বড় একটা লেক রয়েছে। তবুও আমাদের অনেককে সেই ঢাকুরিয়া লেকে হাঁটতে যেতে হত। গত কয়েক বছরে যোধপুর পার্ক লেকের হাল বদলেছে। এখন এখানে অনায়াসে সকালে হাঁটা যায়। বিশ্রাম নেওয়া যায়। আগের তুলনায় লেকের অবস্থা এখন অনেক ভালো।’
স্থানীয় ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মৌসুমী দাস বলেন, ‘প্রথম পর্যায়ে লেক ও পার্কের আংশিক সংস্কার হয়েছিল। প্রথমে তা মানুষের ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হয়েছে। এবার লেক এবং সংলগ্ন পার্কের উন্নয়নে আরও কাজ হচ্ছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম সবরকম সহযোগিতা করেছেন। আমাদের বিধায়ক দেবাশিস কুমারও কাজ তদারকি করছেন। আগামী দিনে এই চত্বরে একটি চিলড্রেন্স পার্ক ও ওপেন জিমনাশিয়াম করার পরিকল্পনা রয়েছে।’ চলছে সংস্কারের কাজ। নিজস্ব চিত্র