• প্রথমবার বেড়াতে গিয়ে পুড়ে খাক তিন বোন, গোয়ার অগ্নিকাণ্ডে মৃত পরিবারের একমাত্র রোজগেরেও
    প্রতিদিন | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বোনেরা মিলে প্রথমবার গোয়ায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। কিন্তু গোয়ার নাইটক্লাবে পুড়ে খাক হয়ে গেলেন তিন বোন। অন্যদিকে, নাইটক্লাবে কাজ করে ভাইয়ের পড়াশোনা চালাচ্ছিলেন দাদা। শনিবারের অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন পরিবারের সেই একমাত্র রোজগেরে। সবমিলিয়ে গোয়ার নাইটক্লাবের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে একের পর এক শোকার্ত পরিবারের ছবি উঠে আসছে।

    জানা গিয়েছে, প্রথমবার গোয়ায় বেড়াতে গিয়েছিলেন চার বোন। দিল্লির বাসিন্দা অনিতা, কমলা, সরোজ এবং ভাবনা গত সপ্তাহে গোয়ায় পৌঁছন। সঙ্গে ছিলেন ভাবনার স্বামী বিনোদ কুমারও। শনিবার পাঁচজন গিয়েছিলেন গোয়ার নাইটক্লাবে। সেখানেই পুড়ে মৃত্যু হয় অনিতা, কমলা, সরোজের। প্রাণ হারান বিনোদও। জানা গিয়েছে, অনিতা এবং কমলার দেহ এতখানি জ্বলে গিয়েছে যে তাঁদের শনাক্ত করাই অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। চার বোনের মধ্যে একমাত্র ভাবনা জীবিত রয়েছেন।

    দিল্লিতে ভাবনাদের এক পড়শি জানিয়েছেন, তিন বোনের মৃত্যুর কথা এখনও জানানো হয়নি তাঁদের বৃদ্ধা মাকে। হরিশ সিং নামে ওই ব্যক্তি বলেন, “গত সপ্তাহেই ওরা বাড়ি থেকে বেরল। সবাই দারুণ খুশি ছিল গোয়ায় বেড়াতে যাবে বলে। ওদের মায়ের শরীর একদম ভালো নয়। একসঙ্গে তিন মেয়ের মৃত্যুসংবাদ শুনতে পারবেন না তিনি। আমরা সকলে পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।”

    গোয়ার অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা সতীশ রানারও। গোয়ার ওই নাইটক্লাবে কাজ করতেন সতীশ। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সতীশের আয়েই চলত ছোট ভাইয়ের পড়াশোনা এবং অন্যান্য খরচ। ছেলেকে হারিয়ে শোকে ভেঙে পড়েছে তেহরি গাঢ়ওয়ালের গোটা গ্রাম। দোষীদের কঠোর শাস্তি চাইছেন গ্রামবাসীরা। অগ্নিকাণ্ডের জেরে ইতিমধ্যেই ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ক্লাবের মালিক এখনও অধরা। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ২৫ জনের মধ্যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে কেবল অক্সিজেনের অভাবে। তাঁদের দেহে পোড়ার ক্ষত ছিল না।
  • Link to this news (প্রতিদিন)