সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চার ঘণ্টা দেরিতে চলছিল ট্রেন। তাও আবার ঘোষণা না করেই হাওড়া থেকে ছেড়ে গিয়েছিল দিল্লিগামী স্পেশাল ট্রেন। ফলে তুমুল যাত্রী বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় রেল কর্তৃপক্ষকে। আর হাওড়া স্টেশনে সেই বিক্ষোভ সামলাতে নির্ধারিত টিকিট ছাড়াই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে তুলে দেওয়া হল তিনশো যাত্রীকে! বিশৃঙ্খলা আরও বাড়ল। বন্দে ভারতের যাত্রীদের অভিযোগ, রেলের এই বিশৃঙ্খলার জন্য অতিরিক্ত যাত্রীদের কারণে তাঁদের নিশ্চিন্ত সফর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাত প্রায় ১.১৫ নাগাদ। হাওড়া থেকে দিল্লিগামী স্পেশাল ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল। জানানো হয়, ট্রেনটি প্রায় চারঘণ্টা দেরিতে চলবে অর্থাৎ রবিবার রাতের বদলে সোমবার ভোর ৫.১৫এ রওনা দেবে। কিন্তু ট্রেনটি ছাড়ার আগে কোনওরকম ঘোষণা করা হয়নি বলে যাত্রীদের অভিযোগ। এরপর ১২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। ঘোষণা না হওয়ায় প্রায় তিনশো যাত্রী ট্রেনটিতে উঠতে পারেনি। স্বভাবতই তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। অনুসন্ধান অফিস, স্টেশন মাস্টার, ডেপুটি এসএম অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখতে থাকেন। ভোরে এই অশান্তির জন্য অন্যান্য যাত্রীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন।
এরপর রেলের তরফে জানানো হয়, যাঁরা দিল্লিগামী ওই স্পেশাল ট্রেনে উঠতে পারেননি, তাঁদের গয়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে নিয়ে যাওয়া হবে। ফলে নির্ধারিত টিকিট ছাড়াই প্রায় আড়াইশো থেকে তিনশো যাত্রী বন্দে ভারতে উঠে পড়েন। এর জন্য বন্দে ভারত নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে পারেনি। এমনকি দুর্গাপুরে পৌঁছয় আধঘন্টা দেরিতে।
বন্দে ভারতের যাত্রীদের অভিযোগ, রেলের এই কাজের দায় পোহাতে হয়েছে তাদের। ট্রেন না পাওয়া যাত্রীরা বন্দে ভারতের আসন দখল করেন বলে অভিযোগ। এছাড়া দূরের রাস্তা যাওয়ার সময় কামরার যত্রতত্র বসে পড়েন, শৌচালয়েও ভিড় করেন। অনেকে প্যান্ট্রির খাবার ছিনিয়ে নেন বলেও অভিযোগ। যাত্রীদের এই আচরণে আরপিএফ, টিটিইরা তাঁদের আবেদন জানান শান্তভাবে যাতায়াত করতে। পূর্ব রেলের প্রিন্সিপ্যাল চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার উদয়শঙ্কর ঝা জানিয়েছেন, সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।