বাড়ি থেকে মাদক-সহ এক দম্পতি ও তাদের ছেলেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে মালদহের কালিয়াচকে তাদের বাড়ি থেকে প্রায় ২৯১ গ্রাম মাদক উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। যার বাজারদর প্রায় ২০-২৫ লক্ষ টাকা। পুলিশ সূত্রের খবর, শুধু এই ঘটনা নয়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় মাদক উদ্ধারে আরও অভিযান চলেছে। সব মিলিয়ে ৫ কেজি ৯৫৬ গ্রাম ‘ব্রাউন সুগার’ উদ্ধার হয়েছে। সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে ছ’জন কালিয়াচকের ও এক জন বৈষ্ণবনগরের বাসিন্দা। মালদহের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মাদক কারবারের সঙ্গে আর কারা যুক্ত, তা ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা হচ্ছে।’’
পুলিশ জানায়, ধৃত নবিউল শেখ, তাঁর স্ত্রী জুলি বিবি ও তাদের বছর আঠেরোর ছেলে আমান শেখের বাড়ি কালিয়াচক ১ ব্লকের সিলামপুর ১ পঞ্চায়েতের তালতলা গ্রামে। পুলিশ সূত্রের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে তারা জেনেছে, নবিউল দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারে যুক্ত। মূলত কালিয়াচকের মোজমপুর থেকে মাদক সংগ্রহ করত সে। গত কয়েক বছর ধরে স্ত্রী-ছেলেকে নিয়ে নিজেদের বাড়ি থেকেই সে মাদক বিক্রি করছিল বলে অভিযোগ। তাদের বাড়ির পিছনে রয়েছে আম ও লিচুর বড় বাগান। অভিযোগ, স্থানীয় কয়েক জনের পাশাপাশি, বহিরাগতেরাও এসে ওই বাড়ি থেকে মাদক কিনে ওই বাগানে তা সেবন করত।
খবর পেয়ে শনিবার রাতে কালিয়াচক থানার পুলিশের একটি দল নবিউলের বাড়িতে অভিযান চালায়। বিভিন্ন ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ২৯১ গ্রাম ‘ব্রাউন সুগার’ উদ্ধার হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের একটি সূত্রে খবর, একটি খুনের মামলাতেও নাম রয়েছে নবিউলের। বছরখানেক আগে কালিয়াচকের খালতীপুরে রেললাইনের ধারে এক জনের দেহ উদ্ধার করা হয়। সেই ঘটনায় নবিউল-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ ওঠে। তার পর থেকে সে পলাতক ছিল। সম্প্রতি কিছু দিন ধরে সে বাড়িতে রয়েছে বলে পুলিশ খবর পায়। রবিবার মালদহ আদালতে তোলা হলে ধৃতদের ছ’দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জানান সরকারি আইনজীবী উৎপল মণ্ডল।