এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও স্বাভাবিক হয়নি ইন্ডিগোর বিমান পরিষেবা। সোমবারও দেশ জুড়ে প্রায় ৫০০ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। যাত্রী ভোগান্তি চরমে। ইতিমধ্যে ইন্ডিগোর বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এয়ারলাইন সংস্থার সিইও পিটার এলবার্সকে শোকজ়-সহ টিকিটের ভাড়া ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বার রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রামমোহন নাইডু বলে দিলেন, ‘কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্য সব এয়ারলাইন সংস্থার কাছে উদাহরণ হয়ে থাকবে।’ ইন্ডিগো-সংকট থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
এ দিন ইন্ডিগো বিপর্যয় নিয়ে ঝড় ওঠে রাজ্যসভায়। কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে বিমান পরিবহণ মন্ত্রীর বিবৃতি চান বিরোধীরা। তার পরেই রামমোহন নাইডু জানান, ‘অভ্যন্তরীণ সংকটের’ কারণেই হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল করে দেয় সংস্থা।
এই সঙ্কটকে হালকা ভাবে নেওয়ার কোনও জায়গা নেই জানিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামমোহন নাইডু বলেন, ‘পাইলট, ক্রু, যাত্রী - আমরা সবার কথা ভাবছি। সব বিমান সংস্থাকেই এয়ারলাইনকেই বিষয়টা স্পষ্ট করে জানানো হয়েছিল। ক্রু আর রোস্টার ঠিক ভাবে সামলানো উচিত ছিল ইন্ডিগোর। কিন্তু তা হয়নি।’
এর পরেই ইন্ডিগোকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রচুর যাত্রী সমস্যায় পড়েছেন। আমরা বিষয়টাকে হালকা ভাবে নিচ্ছি না। কঠোর ব্যবস্থা নেব। এমন ব্যবস্থা নেব, যা অন্য এয়ারলাইন সংস্থাগুলির কাছে উদাহরণ হয়ে থাকবে।’ এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার তদন্তও শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, পাইলটদের ক্ষেত্রে টানা উড়ানের কারণে ক্লান্তি খুব সাধারণ সমস্যা। এর ফলে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে একাধিক বিমান। তাই পাইলটদের বিশ্রামের সময় বাড়িয়ে নয়া নিয়ম চালু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সমস্যা হলো, পর্যাপ্ত পাইলট থাকলে তবেই এই নিয়ম সুষ্ঠ ভাবে কাজ করবে মনে করেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। তাই এই নিয়ম চালু হতেই কর্মী সংকট দেখা দেয়। হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল করতে হয়। বিপর্যস্ত হয় বিমান পরিষেবা।