• ১৪ বছরের কাজের খতিয়ানকে ‘হতশ্রী পাঁচালি’ বলে কটাক্ষ, ঠিকাদারদের বিশেষ সতর্কবার্তা দিলেন শুভেন্দু
    এই সময় | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সপ্তাহ খানেক আগেই ১৪ বছরে সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই খতিয়ানের আনুষ্ঠানিক নাম দেওয়া হয় ‘পাঁচালি’। পাশাপাশি, ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচিতে যে আবেদন এসেছে, তা আগামী দু’মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করার বার্তা দেন তিনি। সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে সেই কর্মকাণ্ডের চরম সমালোচনা করলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘রাজ্যে তীব্র প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া বইছে, তাতে এই হতশ্রীর পাঁচালি কাজে আসবে না।’ ঠিকাদারদের এই ‘ফাঁদে পা না দেওয়ার’ও আর্জি জানান তিনি।

    শুভেন্দু’র অভিযোগ, জেলায় জেলায় অনেক ঠিকাদারই নাকি এই কাজ করতে চাইছেন না। এমনকী, গোটা রাজ্য জুড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার কাজের আবেদন এলেও মাত্র ৭০০ কোটি টাকার কাজ ‘জোর করে’ করছে সরকার। তাঁর কথায়, ‘আমি ঠিকাদার বন্ধুদের অনুরোধ করেছিলাম, আপনার শেষ মুহূর্তে ঠকবেন না। আপনারা যদিও এই কাজের ঠিকাদারি নেন, আমরা ভবিষ্যতে দায়িত্বে এলে এই দুর্নীতির কাজের পেমেন্ট করতে পারব না। মাত্র ৭০০ কোটি টাকা দিয়ে জোর করে কাজ করানো হচ্ছে। মাত্র ১০ শতাংশ টাকা বরাদ্দ হয়েছে।’

    কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করলেও রাজ্য সরকারই এই উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ করছে, এ ব্যাপারে জেলায় জেলায় প্রচার করারও লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। জেলাশাসক, BDO-রা স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের নিয়ে এই প্রচার কর্মূসচিতে নামবেন। সেই কর্মসূচিতে গিয়ে সাধারণ মানুষ ‘কেন রাজ্যে ৮২০০ স্কুল বন্ধ হয়েছে?’, ‘কেন রাজ্য থেকে ৬৮৮৮ শিল্প কেন তাড়ানো হয়েছে?’ ‘কেন মহিলাদের রাতে বেরনো যাবে না বলা হয়েছে?’, ‘কেন অভয়ার মতো ঘটনা আজও ঘটে?’ এই প্রশ্ন তুলে ধরার জন্যে জনসাধারণকে আবেদন জানান শুভেন্দু।

    কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগের মধ্যে শাসকদল প্রথম সারিতে রাখছে ১০০ দিনের কাজকে। এই কাজের বরাদ্দ বন্ধ করা নিয়ে বিজেপির হাইকোর্ট ও পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া নিয়ে আওয়াজ তুলেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। পাল্টা এই কাজে ‘সীমাহীন দুর্নীতি’র প্রসঙ্গ টানেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য, ‘আমরা মনরেগার বিরোধী নয়। কাজ চালু হোক। পরিচ্ছন্ন ভাবে চালু হোক। ভুয়ো কার্ড বাতিল হোক। ১ কোটি ২৫ লক্ষ কার্ড আগেই বাতিল হয়েছে। এখন আধারের সঙ্গে জব কার্ড লিঙ্ক করতে বলছে। তাতে রাজ্যে মোট ২কোটি ৫৬ লক্ষ ৩৮ হাজার কার্ডের মধ্যে ১ কোটি ৯৭ লক্ষ কার্ডের অথেনটিকেশন হয়েছে। দেশে সবথেকে কম, ৬২.৯ শতাংশ। বিরাট সংখ্যক জব কার্ড ভুয়ো। ভুয়ো জব কার্ডে কয়েক হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে।’

  • Link to this news (এই সময়)