কোচবিহারের প্রশাসনিক সভা থেকে সোমবার পুলিশকে আরও সক্রিয় হওয়ার বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বাড়াতে হবে নাকা চেকিং, নির্দেশ তাঁর। এ দিন SIR ইস্যুতে ফের একবার কেন্দ্রকে তোপ দাগেন তিনি। ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা জানুয়ারি মাসের প্রথমেই দেওয়া হবে, এ কথাও জানান মমতা।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোচবিহার জেলায় সীমান্ত রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা যাতে বজায় থাকে, তা দেখতে হবে। কোনও মাতব্বরি বা হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা চলবে না। এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।’ রাজ্য সরকারের প্রকল্প ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’-এর কাজে যাতে গতি আসে, এ দিন সেই বিষয়েও জোর দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
চলতি বছরেই কোচবিহার জেলার সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা উত্তমকুমার ব্রজবাসীকে ডাকযোগে এনআরসি নোটিস পাঠানো হয় গুয়াহাটি থেকে। সেই প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, ‘আমরা কোনও বৈষম্য, ভেদাভেদ মানি না। অনেক রাজবংশীদের অসম থেকে নোটিস ধরানো হয়েছিল। আমরা প্রতিবাদ করেছি।’ সোনালি খাতুনদের বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ ইস্যুতেও এ দিন সরব হন মমতা। তিনি বলেন, ‘অনেককে বাংলায় কথায় বলার জন্য বাংলাদেশে পুশব্যাক করছে। লোকাল পুলিশ কী করছে? আপনাদের হাতের নাগাল থেকে কী ভাবে বেরিয়ে যাচ্ছে? এখনও বাংলাদেশে চার জন রয়েছেন। তাঁরা কিন্তু ভারতীয়।’
এর পরেই তাঁর সংযোজন, ‘রাজ্যের পুলিশকে বলছি, এত ভীতু হলে চলবে না। মারপিট করতে বলছি না, প্রোঅ্যাক্টিভ হন। নাকাচেকিং ঠিক করে করুন। প্রচুর লেনদেন হচ্ছে বর্ডার দিয়ে। যাঁরা বেশি সমালোচনা করে তাঁরাই, তাঁদের ভূমিকাই সঠিক নয়।’ নাম না করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দপ্তরের আওতাধীন সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ)-এর সমালোচনায় এ দিন ফের সরব হন মমতা, মত ওয়াকিবহাল মহলের। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বলেন, ‘অন্য রাজ্য থেকে এসে আমার রাজ্য থেকে কাউকে যাতে গ্রেপ্তার করে নিয়ে না যায়, তা দেখতে হবে পুলিশকে। ক্রিমিনালকে নিতে এলে আগে রাজ্যকে জানান। কাউকে চোর বলার আগে দেখতে হবে, সে চোর বা দুষ্কৃতী কি না।’
‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে ১৬ লক্ষ উপভোক্তাকে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা জানুয়ারি মাসের প্রথমে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।