মিল্টন সেন, হুগলি, ৮ ডিসেম্বর: জেলায় তিন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দু’জনের। আহত একজন চিকিৎসাধীন। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে চন্দননগর লালবাগান এলাকায়। নির্মীয়মাণ আবাসন থেকে পরে মৃত্যু হয় এক মহিলা নির্মাণ শ্রমিকের। মৃতার নাম শ্যামলী বাগ (৪৫), বাড়ি চন্দননগর গোস্বামী ঘাট এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চন্দননগর লালবাগান বেলতলা এলাকায় একটি পাঁচতলা আবাসন তৈরির কাজ চলছে। সোমবার সকালে সেই আবাসনে কাজ করার সময় বাঁশের ভারা থেকে পড়ে যান মহিলা নির্মাণ শ্রমিক। তাঁকে তৎক্ষণাৎ চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চন্দননগর থানার পুলিশ। হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পাশাপাশি সোমবার সকালেই মগড়া এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক স্কুটি আরোহীর। মৃতের নাম শেখ মহম্মদ সফন (২৬)। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পোলবার হোসনাবাদের বাসিন্দা শেখ সফন স্কুটি নিয়ে চুঁচুড়া যাচ্ছিলেন। আদি সপ্তগ্রাম স্টেশন রোড ও জিটি রোডের সংযোগস্থলে এক সাইকেল আরোহী সামনে চলে আসায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যান। পিছন থেকে আসা একটি ইট বোঝাই পিকআপ গাড়ি তাঁকে পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় যুবকের। মগড়া থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। গাড়ি সরিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে চুঁচুড়া হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ঘাতক গাড়িটিকে পুলিশ আটক করলেও, চালক পলাতক। এদিকে হুগলির ধনিয়াখালির ঘনশ্যামপুর এলাকায় লরি ও বাইকের সংঘর্ষ আহত একজন। পলাতক লরি। দুমড়ে মুচড়ে যায় বাইক। আহতকে উদ্ধার করে ধনিয়াখালি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত ব্যক্তির নাম দেবব্রত দাস (৩৪), বাড়ি স্থানীয় জামালপুর এলাকায়। জানা গেছে সোমবার তিনি দশঘরা থেকে ধনিয়াখালি মদনমোহনতলার দিকে যাচ্ছিলেন। ঘনশ্যামপুর এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ধনিয়াখালি থানার পুলিশ। পলাতক লরির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি এদিন ট্রেনের ধাক্কায় একটি গরুর মৃত্যু হয়। ফলে বেশ কিছুক্ষণ ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয় হাওড়া ব্যান্ডেল শাখায়। জিআরপি সূত্রে জানা গেছে, সাড়ে এগারোটা নাগাদ শেওড়াফুলি ও বৈদ্যবাটি স্টেশনের মাঝে আপ ব্যান্ডেল লোকালের সামনে একটি গরু চলে আসে। ট্রেনের বাফারে ধাক্কা লাগে। পাথর ছিটকে লেগে ট্রেনের গ্যাস পাইপ খুলে যায়। দাঁড়িয়ে পরে ট্রেন। মেনটেনেন্সের কর্মীরা এসে ঠিক করে। প্রায় আধ ঘন্টা পর ট্রেন চলাচল পুনরায় স্বাভাবিক হয়।
এদিকে, ওই আবাসনের নির্মাণ কর্মীদের অভিযোগ কোনওরকম সেফটি বেল্ট ছিল না। তার জন্যই এত বড় দুর্ঘটনা। এই আবাসনের মালিক অচিন্ত্য দাস ও হারাধন ব্যানার্জিকে দুর্ঘটনার পর দেখা যায়নি। রাম চক্রবর্তী বলেন, পুর নিগমের তরফে নির্মাণ কর্মীদের সেফটি সিকিউরিটির ব্যাপারে আগেই বলা হয়েছে এখানে বিষয়টা খতিয়ে দেখতে হবে। এর আগে এই ধরনের ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারেও নেওয়া হবে।