আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় চেনা মুখ ছিলেন প্রান্তিক চক্রবর্তী। দীর্ঘদিন শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অন্যদিকে রাজনীতির ময়দানে একেবারে জ্বালাময়ী ভাষণ দিয়ে, তৃণমূলের পতাকা নিয়ে প্রেসিডেন্সির গেট টপকে, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে বক্তব্য রেখে নজর কেড়েছিলেন রাজন্যা হালদারও। রাজন্যাকে সামনের সারিতে আনতে দলের অনেকেই ব্যাকআপ দিয়েছেন একসময়ে। সেইসময়ে চুটিয়ে তৃণমূলের হয়ে নানা সভা-সমিতি করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখনও সেসব ছবি উজ্জ্বল। তবে তার মাঝেই ফুল বদলের সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছেন দু'জনেই। সব ঠিক থাকলে, সোমবার দুপুর দুটোয় বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে এসেই পদ্ম শিবিরের পতাকা হাতে নেবেন প্রান্তিক চক্রবর্তী, রাজন্যা হালদার, সূত্রের খবর তেমনটাই।
এই ঘটনা একেবারেই আকস্মিক নয়। বরং ঘটবেই, এই আঁচ পাওয়া গিয়েছিল আগেই। প্রান্তিক এবং রাজন্যা দু'জনেই নিজেদের কার্যকলাপে বারেবারে বুঝিয়েছেন, আর শাসক দলের সঙ্গে থাকছেন না। ঘটনার সূত্রপাত বছর দেড় আগে থেকেই। মনকষাকষি, আর রাজনীতির মারপ্যাঁচে সময় লেগেছে যেটুকু। এবার ফুল বদল। দল বদল।
এই প্রসঙ্গে আজকাল ডট ইন যোগাযোগ করেছিল প্রান্তিক চক্রবর্তীর সঙ্গে। কী বলছেন তিনি? প্রান্তিক বলছেন, 'আমি বা রাজন্যা কেউই দল পরিবর্তন কথায় বিশ্বাসী নই।' প্রান্তিকের মতে আবার, এই দল বদল অস্বাভাবিক নয়, নতুনও নয়। বরং গণতন্ত্রে এটাই স্বাভাবিক। তার পিছনে যুক্তিও দিচ্ছেন তিনি। বলছেন, 'মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগে বদল ঘটান বলেই সরকার বদলায়।'
তাহলে কি যোগদান আজই? যদিও প্রান্তিক আবার সোজা কথায় তা স্বীকার করতে নারাজ। তবে জানিয়েছেন, বিজেপির নেতারা যোগাযোগ করেছিলেন। দু' তরফের 'পাকা' কথা হয়েও গিয়েছে।
অন্যদিকে আজই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন রাজন্যা। অনেকের ধারণা, তাঁর পোস্ট একটা ইঙ্গিতও। শাসক দলের সঙ্গে রাজন্যাদের দূরত্ব তৈরি মূলত আরজিকর আন্দোলনের আবহে। সেই সময়েই, তাঁদের বানানো এক স্বল্প দৈর্ঘের ছবি নিয়ে তুমুল চর্চা হয়। এবং ওই ছবি বানানোর পরেই, দল থেকে সাসপেন্ড করা হয় রাজন্যা প্রান্তিককে। তার পরেও সাউথ ক্যালকাটা ল'কলেজ কাণ্ডে রাজন্যা দলবিরোধী মন্তব্য করেছেন বহুবার। তখন থেকেই তীব্র হয় জল্পনা, দল বদলের। মাঝে রাজন্যা জানিয়েছেন, তাঁরা বিজেপিতে কবে যোগ দেবেন, তা স্থির না হলেও, তাঁরা তৃণমূলে নেই, এটা নিশ্চিত। এর পরেই জানা গিয়েছে, সোমবারেই দু'জনে যোগ দেবেন বিজেপিতে।