• 'আমার বাবা-মা আমাকে সেই শিক্ষা দেয়নি', ব্রিগেডে গীতাপাঠে বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী..
    ২৪ ঘন্টা | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ব্রিগেডে 'গীতাপাঠ'। আয়োজক, সনাতন সংস্কৃতি সংসদ। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, কিন্তু তিনি যাননি। কেন?  সোজাসাপ্ট জবাব, 'আমি কী করে যাব, বিজেপির অনুষ্ঠানে যাব কী করে! এটা যদি নিরপেক্ষ অনুষ্ঠান হত, আমি নিশ্চয়ই যেতাম'।

    এদিন কোচবিহারে রওনা দেওয়ার কলকাতা বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি তো একটা পার্টি করি, আমার তো একটি ইডিওলজি আছে। আমি সবধর্মকে সম্মান করি। কিন্তু যেখানে বিজেপি সরাসরি জড়িত, সেখানে আমি যাব কী করে বলুন তো! যারা বলছে, আমরা নেতাজি ঘৃণা করি। গান্ধীজীকে মানি না। আমি সেখানে যেতে পারব না। আমার বাবা-মা আমাকে সেই শিক্ষা দেয়নি। আমাদের শিক্ষকরা এই শিক্ষা দেয়নি। বাংলাকে যাঁরা অসম্মান করে , যাঁরা বাংলার বিরোধী, তাদের সঙ্গে আমি নেই'।

    ময়দানে 'গীতাপাঠ' অনুষ্ঠানে অবশ্য যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির  রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, এমনকী প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও।  বস্তুত, ২০২৩ সালেও  সনাতন সংস্কৃতি সংসদ উদ্যোগেই  ব্রিগেডেই হয়েছিল গীতাপাঠ।

    এদিকে 'বন্দেমাতরম' দেড়শো বছরে উপলক্ষ্যে লোকসভায় বিশেষ  অধিবেশন। বিতর্কে অংশ নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, 'আমাদের কোনও সমস্যা নেই।  বাংলার গানটা  জাতীয় সংগীত।  বন্দেমাতরমের পুরো গান কখন নেওয়া হয়নি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিছ লাইন বেছে দিয়েছিলেন। সেই লাইনগুলি জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল'। বিজেপিকে কটাক্ষ, 'কিছু আগে তো রাজ্যসভায় নির্দেশিকা দিয়েছিল যে, জয় হিন্দ বলা যাবে না,  বন্দেমাতরম বলা যাবে না। কাল তো শুনলাম বিজেপির কিছু নেতা বলেছে, আমরা নেতাজিকে পছন্দ করি না। তুমি নেতাজি পছন্দ কর না, গান্ধীজিকে পছন্দ কর না, রাজা রামমোহন রায়কে পছন্দ কর না, কাকে পছন্দ কর? এরা কারা, দেশের সম্পর্কে জানে না? নেতাজিকে অপমান করে, বঙ্কিমচন্দ্রকে অপমান করে, রবীন্দ্রনাথ অপমান করে, বিদ্যাসাগরকে অপমান করে, এরা জানে বাংলার অবদান'!

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)