বিক্রম দাস: ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করার টাকাও নাকি পাচ্ছেন না অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukhopadhyay)! অসুবিধা হচ্ছে জীবনধারণেও। আদালতে এমনটাই দাবি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবীর। ইডির ফ্রিজ করা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যাবহার করতে চেয়ে নগর দায়রা আদালতে আবেদন করেছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায় (Arpita Mukhopadhyay Bank Account Reopen)। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী গোপাল হালদার এদিন আদালতে দাবি করেন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যাবহার করতে না পারার ফলে তাঁর মক্কেল অর্পিতা চক্রবর্তীর খাওয়া দাওয়া এবং জীবনধারনে অসুবিধা হচ্ছে।
এদিন মামলা সংক্রান্ত কিছু নথিও আদালতে জমা দেন আইনজীবী। যদিও বিচারক জানান আইনজীবীর জমা দেওয়া সেই নথির প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ১৬ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী গোপাল হালদার আরও দাবি করেন, ইডির ফ্রিজ করা এই ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলি ২০০৪ সালের। এর সঙ্গে দুর্নীতির কোনও যোগ নেই। অভিনয়, মডেলিং করে তখন অর্পিতা আয় করতেন বলে জানান আইনজীবী।
প্রসঙ্গত এর আগের দিনই আদালতে নিজের ৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার আবেদন করেন অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়। শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পাওয়ার ঘটনায় ব্যাঙ্কশাল কোর্টে সশরীরে হাজিরা দেন তিনি। সেদিনই অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায় (Arpita Mukhopadhyay) নিজের ৩টে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার (Bank Account Reopen) জন্য আবেদন করেন অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায় (Arpita Mukherjee)। তখনও অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের আবেদনে আপত্তি জানিয়েছিল ইডি (Enforcement Directorate)। আজ ছিল সেই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এর আগের দিনই আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে ইডির বিরুদ্ধে কার্যত 'বোমা' ফাটান অর্পিতা। নিয়োগের (SSC Case) সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, সেই অ্যাকাউন্টও (Bank Acccount Seize) সিজ করেছে ইডি (ED)। বলেন, "যেভাবে মনে করেছে, সেভাবে ইডি সেগুলো সিজ করেছে। কিন্তু যেটা ২০০২ সাল থেকে অ্যাকাউন্ট, তার সঙ্গে তো নিয়োগের কোনও সম্পর্ক নেই! তখন তো জাস্ট আমি আমার কেরিয়ার শুরু করেছি! সেই অ্যাকাউন্টটাও আটকে দিয়েছে!"