পুতিনের পর এবার জেলেনস্কি, ‘শান্তির পথ’ খুঁজতে শীঘ্রই ভারত সফরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট!
প্রতিদিন | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পর এবার ভারত সফরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Zelenskyy India Visit)! সূত্রের খবর, ৩ বছর ধরে চলতে থাকা রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে শান্তির পথ খুঁজতে এবার দিল্লি আসছেন তিনি। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতেই হতে পারে জেলেনস্কির ভারত সফর। এই সফরের চূড়ান্ত দিনক্ষণ প্রস্তুত করতে মাঠে নেমেছেন দিল্লির শীর্ষ আধিকারিকরা।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত ও ইউক্রেনের আধিকারিকরা বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই ইস্যুতে আলোচনা চালাচ্ছে। পুতিনের সফরের আগেও এই বিষয়ে একদফা আলোচনা হয়েছিল দুই দেশের। এবার রুশ প্রেসিডেন্টের সফরের মাত্র একমাসের ব্যবধানে জেলেনস্কির এই ভারত সফর কূটনৈতিকভাবে ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ। রুশ-ইউক্রেনে যুদ্ধের শুরু থেকেই নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে ভারত। আলোচনার মাধ্যমে শান্তির পক্ষে বারবার বার্তা দেওয়া হয়েছে। দিল্লির উপর আস্থা রেখেছে দুই দেশই। জেলেনস্কি ও পুতিন দুই রাষ্ট্রপ্রধানই বার্তা দিয়েছেন, এই যুদ্ধ শেষ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে ভারত।
দাবি করা হচ্ছে, জেলেনস্কির তরফে ভারত সফরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার অগ্রগতি এবং যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি-সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করবে। তদুপরি, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমস্যার জর্জরিত জেলেনস্কির জন্য এই সফর কিছুটা কঠিন বলেও অনুমান করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ভারত ও ইউক্রেনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট তিনবার (১৯৯২, ২০০২ এবং ২০১২ সালে) ভারত সফর করেছেন। এদিকে, গত বছর প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রথম ভারতীয় হিসেবে ইউক্রেন সফর করেছিলেন। সেই সফরেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ভারত আসার আমন্ত্রণ জানান মোদি। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার পোলিশচুক জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই ভারত সফরে আসবেন জেলেনস্কি। তবে নানা কারণে তা সম্ভব হয়নি। যদি সব ঠিক থাকে তাহলে জানুয়ারিতেই হবে জেলেনস্কির প্রথম ঐতিহাসিক ভারত সফর হবে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সফরের পর মোদির পরামর্শে যদি আলোচনায় বসে ইউক্রেন ও রাশিয়া তাহলে তা বিরাট কূটনৈতিক জয় হবে। কারণ পুতিনের সঙ্গে মোদির সখ্যের কথা কারও অজানা নয়। এদিকে, ট্রাম্পের ভরসা ছেড়ে জেলেনস্কির কাছে এখন মোদিই ‘শান্তির দূত’। ফলে ভারসাম্যের খেলা খেলে যদি দিল্লি এই যুদ্ধের থামিয়ে শান্তির পথ খুলে দিতে পারে তাহলে তা বিশ্বের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা হবে।