‘প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা’, ইন্ডিগো বিভ্রাটের মধ্যে বিমানসংস্থাগুলিকে হুঁশিয়ারি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
প্রতিদিন | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিগত ছয় দিন ধরে চলা বিমান বিভ্রাট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে বিমানসংস্থা ইন্ডিগো। এর মধ্যেই সংসদে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রামমোহন নাইডু হুঁশিয়ারি দিলেন, ইন্ডিগোর ব্যবস্থাপনায় গাফিলতির পর বিমানসংস্থাগুলির বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, যা সমস্ত বিমানসংস্থার জন্য উদাহরণ হবে।
এদিন রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখেন অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী। তিনি বলেন, শয়ে শয়ে উড়ান বাতিল হয়েছে। বিমানসংস্থার অভ্যন্তরীণ সংকটে ভুক্তভোগী হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। অথচ যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই পাইলটদের পর্যাপ্ত ছুটির বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছিল কেন্দ্র। রামমোহন নাইডু বলেন, “আমরা পাইলট, বিমানকর্মী এবং যাত্রীদের দেখভাল করে থাকি। এই বিষয়ে সমস্ত বিমান সংস্থাকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে। ইন্ডিগোর উচিত ছিল ব্যবস্থাপনা সঠিক রাখা। যাত্রীরা ভয়ংকর সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। আমরা এই পরিস্থিতিকে মোটেই হালকাভাবে নিচ্ছি না। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটি বিমান সংস্থার জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করব। যদি নির্দেশিকা অমান্য হয়, তবে ব্যবস্থা নেব।”
পরিষেবার দিক থেকে ভারতে অন্যতম বৃহৎ বিমানসংস্থা ইন্ডিগো। প্রতিদিন উড়ানের সংখ্যা ২৩০০টি। শনিবার ১৫০০ এবং রবিবার ১৬৫০টি উড়ান চলে থাকে। গন্তব্যের সংখ্যা ১৩৮। ফিরতি গন্তব্যের সংখ্যা ১৩৫। সব মিলিয়ে দেশে ও বিদেশে যাতায়াতের জন্য ভরসা যোগ্য একটি বিমানসংস্থা হয়ে উঠছিল ইন্ডিগো। সেই পরিষেবাই সম্পূর্ণরূপে মুখ থুবড়ে পড়েছে গত ছ’দিন ধরে। নেপথ্যে বিমানসংস্থার অপ্রতুল কর্মী সংখ্যা। ডিজিসিএ-র নির্দেশ মেনে পাইলটদের পর্যাপ্ত ছুটি দিতে গিয়েই বেহাল অবস্থা হয় ইন্ডিগোর। তবে কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে রবিবার যাত্রীদের টিকিট বাবদ ৬১০ কোটি টাকা ফিরিয়েছে ইন্ডিগো। এইসঙ্গে ৩ হাজার ব্যাগ ফেরত দিয়েছে বিমানসংস্থাটি।
প্রসঙ্গত, ইন্ডিগোর এই বিপর্যয়ের জেরে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার যাত্রী। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন অসামরিক বিমান চলাচল নিয়ামক সংস্থা (ডিজিসিএ) নোটিস পাঠিয়েছে বিমান সংস্থার সিইও পিটার এলবার্সকে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এলবার্সের কাছে জবাব তলব করেছে ডিজিসিএ। তারা প্রাথমিকভাবে মনে করছে, কেন্দ্রের নতুন বিধি আগে থেকেই সংস্থাকে জানানো হয়েছিল। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল ইন্ডিগোর। কিন্তু সংস্থা সেটা করেনি। সেকারণেই এই অব্যবস্থা এবং মানুষের ভোগান্তি। কেন আগে থেকে পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত করা হল না? প্রশ্ন তুলে ইন্ডিগোকে নোটিস দিয়েছে ডিজিসিএ।