• দু’জায়গায় নাম একই ব্যক্তির, জাল সার্টিফিকেট দেখিয়ে লড়াই ভোটে! এসআইআর আবহে চাঞ্চল্য কালচিনিতে
    প্রতিদিন | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • রাজ কুমার, আলুপুরদুয়ার: শুধু ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্রই নয়, সেই জাল সার্টিফিকেট দিয়ে বিধানসভা নির্বাচনেও প্রার্থী হলেন কালচিনি ব্লকের হ্যামিলটনগঞ্জের বাসিন্দা চঞ্চল দাস। এসটি সম্প্রদায়ের এক পরিচিত ব্যক্তিকে বাবা বানিয়ে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, রেশন কার্ড বানিয়ে তা দিয়ে ভোটার তালিকাতেও নাম তোলার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।

    এসআইআর (SIR in West Bengal) আবহে এই অভিযোগ সামনে আসতেই কালচিনিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিষয়টি শুনে আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক দেবব্রত রায় বলেন, “মারাত্মক অভিযোগ। আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা পড়লেই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”

    জানা গিয়েছে কালচিনি ব্লকের হ্যামিটনগঞ্জের বাসিন্দা চঞ্চল দাস। সেখানে তাঁর ভোটার তালিকায় নামও রয়েছে। বাবার নাম হিসেবে রয়েছে সন্তোষ দাসের নাম। আবার এই চঞ্চল দাসেরই উত্তর মেন্দাবাড়ি এলাকায় ভোটার তালিকায় নাম উঠেছে চঞ্চল নার্জিনারি হিসেবে। নার্জিনারিরা সাধারণত এসটি সম্প্রদায়ের মানুষ। এখানে তাঁর বাবার নাম হিসেবে রয়েছে দুলাল নার্জিনারি। পাশাপাশি, নার্জিনারি পদবি ব্যবহার করে ভোটার কার্ড এবং আধারকার্ড বানান তিনি। অভিযোগ, এর সাহায্যেই এসটি সার্টিফিকেটও তৈরি করেছেন চঞ্চল। চঞ্চলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ভুয়ো সার্টিফিকেট ব্যবহার করে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছেন। এই নির্বাচনে তিনি লোক জনশক্তি পার্টির হয়ে লড়েন।

    কিন্তু এসআইআর (SIR in West Bengal) আবহে মেন্দাবাড়ির দুলাল নার্জিনারির বাড়িতে আসেন বিএলও। তিনি জানিয়ে দেন, চঞ্চল বলে একজন ওই বাড়ির সদস্য। একথা জানতে পেরে, চিন্তায় পরে যান বাড়ির সকল সদস্য। আর তার পরেই বিষয়টি নিয়ে শোরগোল হতে শুরু করে। দুলাল নার্জিনারির ছেলে দেবর্ষি নার্জিনারি জানান, “বিএলও বাড়িতে এসে বলে গেলো যে আমার ভাই হিসেবে চঞ্চল নার্জিনারি ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন। শুধু তাই নয় চঞ্চল ২০২১ সালে এসটি কোটায় বিধানসভা ভোটেও লড়ে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা এই ঘটনার তদন্ত করে চঞ্চলের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।”

    এদিকে যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সেই চঞ্চল দাস বলেন, “আমার বাবা-মার পদবি দাস হলেও আমি নার্জিনারি বাড়িতে পালিত হয়েছি। সেই কারণে ছোটবেলা থেকে আমার ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, আধার কার্ড-সহ সব জায়গায় সব পালিত বাবা দুলাল নার্জিনারির নাম রয়েছে। সেই কাগজ দিয়েই আমি এসটি সার্টিফিকেট তৈরি করেছি। ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম। পালিত বাবার অনুমতি নিয়েই আমি ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম। প্রশাসন চাইলে তদন্ত করুক।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)