‘ভীতু হলে চলবে না’, সীমান্ত এলাকায় পুলিশকে ‘প্রো অ্যাকটিভ’ হওয়ার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
প্রতিদিন | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমান্ত এলাকা কোচবিহারে রাজ্য পুলিশকে আরও ‘প্রো অ্যাকটিভ’ হওয়ার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আজ, সোমবার দু’দিনের সফরে কোচবিহারে পৌঁছেই প্রশাসনিক সভায় যোগ দেন তিনি। সেই সভা থেকেই একদিকে নাম না করে বিএসএফ এবং কেন্দ্রকে নিশানা করেন, অন্যদিকে রাজ্য পুলিশকেও আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন প্রশাসনিক প্রধান। তিনি বলেন, ”কোচবিহার জেলা বর্ডার জেলা। আইনশৃঙ্খলা ভালোভাবে দেখে রাখতে হবে। বর্ডার এলাকায় অজথা কোনও হস্তক্ষেপ মানা যাবে না।” এলাকায় আইনশৃঙ্খলা এবং শান্তি বজায় রাখতে হবে বলেও নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।
এই বিষয়ে রাজ্য পুলিশকে সাবধান করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ”রাজ্যের যারা অফিসার আছেন তাঁদের বলব, ভীতু হলে চলবে না। মারপিট করতে বলছি না, খুন খারাপি করতে বলছি না! তবে প্রো অ্যাকটিভ হন।” আরও নাকাচেকিং বাড়াতেও নির্দেশ প্রশাসনিক প্রধানের। তাঁর কথায়, ”বর্ডার দিয়ে প্রচুর লেনদেন ইধার-উধার হচ্ছে। নাকাচেকিংটা ঠিকমতো করুন।” এই প্রসঙ্গে নাম করে বিজেপিকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “যাঁরা বেশি সমালোচনা করেন, তাঁরাই এটা খেয়ে যায়! আর দোষ হয় অন্য লোকের। সব পাখি মাছ খায়, দোষ হয় মাছরাঙার!”
অন্যদিকে গত কয়েকমাস আগে রাজবংশী লোকেদের এনআরসি নোটিশ পাঠায় অসম সরকার। এদিন কোচবিহারে দাঁড়িয়ে ফের এই ইস্যুতেও সরব হন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”অনেক রাজবংশী লোককে অসম থেকে এনআরসির নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। যার প্রতিবাদও জানানো হয়েছে।” এই প্রসঙ্গে রাজ্য পুলিশকে সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, ”অসম সরকারের কোনও অধিকার নেই বাংলার লোককে চিঠি পাঠানোর। পুলিশকেও আমারা বলা থাকল, অন্য রাজ্য থেকে এসে আমার রাজ্যের লোককে যেন গ্রেফতার করে নিয়ে যেতে না পারে। এটা দেখার দায়িত্ব আপনাদের।” এমনকী কোনও ক্রিমিনালকে ধরতে আসলেও পুলিশকে রাজ্যকে জানানোর কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ”কোনও ক্রিমিনালকে ধরতে আসলে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলুন। আমারা ক্রিমিনালকে নিশ্চয় অ্যালয় করব না।” কিন্তু সাধারণ মানুষ আর ক্রিমিনাল এক নয় বলেও মন্তব্য প্রশাসনিক প্রধানের।
এদিন কোচবিহারের প্রশাসিকসভা থেকে ফের একবার এসআইআর ইস্যুতে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি বিএলও এবং বিএলএদের যে অসহ্য কাজের চাপ যাচ্ছে, তা নিয়েও সরব হন। কিন্তু এরপরেও যাতে রাজ্যে উন্নয়নের কাজ না বন্ধ হয়, তা আরও একবার রাজ্যের আধিকারিকদের মনে করিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।