যোগ্য ভোটারদের নাম যাতে কোনও ভাবেই ভোটার তালিকা থেকে বাদ না যায়, প্রথম থেকেই তা নিয়ে বলে আসছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজকুমার আগরওয়াল জানালেন, রাজ্যের বিভিন্ন যৌনপল্লি, বৃদ্ধাশ্রম ও উইডো সেন্টারে যাঁরা থাকেন, তাঁদের কাছে এনিউমারেশন ফর্ম পৌঁছে দিতে হবে জেলা নির্বাচনী আধিকারিক বা DEO-দের তরফে। সোমবার এই মর্মে রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলার DEO-কে নির্দেশ দেন রাজ্যের CEO। এ ছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য যে হোম রয়েছে, সেখানেও এনিউমারেশন ফর্ম পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন CEO।
রাজ্যে SIR আবহে কখনও বৃদ্ধাশ্রম, কখনও বা বিধবাদের বিশেষ হোম থেকে এনিউমারেশন ফর্ম সংক্রান্ত একাধিক সমস্যার কথা জানানো হয়েছে রাজ্যের CEO দপ্তরে। হাতে আর তিন দিন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হবে এনিউমারেশন ফর্ম ফিলআপ ও সংগ্রহের সময়সীমা। আর তার আগেই এ বার DEO-দের উদ্দেশে নির্দেশ দিলেন রাজ্যের CEO।
অন্য দিকে, রাজ্যের CEO জানান, হাওড়া জেলার কিছু বৃদ্ধাশ্রমেও এনিউমারেশন ফর্ম ফিলআপ হয়নি। ফলে, সেখানেও দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন DEO-কে। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার যৌনপল্লিতে বসবাসকারী যৌনকর্মীদের এনিউমারেশন ফর্ম সংক্রান্ত সমস্যার কথা তুলে ধরেছিল যৌনকর্মী ও তাঁদের সন্তানদের জন্য কাজ করা তিনটি সংগঠন। তার প্রত্যুত্তরে রাজ্যের CEO আশ্বাস দিয়েছিলেন, যৌনপল্লিগুলিতে কমিশনের তরফে এনিউমারেশন ফর্ম সংক্রান্ত বিশেষ ক্যাম্পের আয়োজন করা হবে।
মঙ্গলবার সকালে রাজ্যের CEO উপস্থিত থাকবেন কলকাতার বিভিন্ন যৌনপল্লিতে, যেখানে এই বিশেষ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। CEO দপ্তর সূত্রে খবর, সোনাগাছিতে যে তিনটি ওয়ার্ডে বিশেষ শিবির করা হয়েছে, সেখানে পৌঁছে সেখানকার মানুষের সমস্যার কথা শুনবেন রাজ্যের CEO। ভোটের অধিকার সকলের। তাই তাঁরা যেন ভোটার তালিকা থেকে বাদ না পড়েন, সেই নিয়েই এ বার কড়া নির্দেশ দিলেন CEO।