• পশ্চিমবঙ্গে অবহেলিত বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সরকার কিছু করেনি; দাবি সাহিত্য সম্রাটের প্রপৌত্রের
    আজ তক | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • 'বন্দে মাতরম' নিয়ে সংসদে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্রোপাধ্যায়কে 'বঙ্কিমদা' বলায় তাঁকে আক্রমণ করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তা নিয়ে উত্তাল দেশের রাজনীতি। দফায় দফায় বিজেপি-কে কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়। সৌগত রায়ের পর তৃণমূলের আর এক সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারও এক হাত নেন পদ্মশিবিরকে। কিন্তু দিল্লিতে দেশের আইনসভায় বঙ্কিমচন্দ্রকে নিয়ে এত আলোচনা হলেও লেখকের প্রপৌত্রের অভিযোগ, নিজের রাজ্য অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গেই বঞ্চিত 'আনন্দমঠের' লেখক। 

    তাঁর দাবি, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বা 'বন্দে মাতরম' নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন সেজন্য তিনি কৃতজ্ঞ। কিন্তু রাজ্য সরকার বঙ্কিমচন্দ্র বা তাঁর পরিবারকে কোনওদিন উপযুক্ত সম্মান দেয়নি। তা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে লেখকের প্রপৌত্রের আরও  দাবি, অনেক লেখক, সাহিত্যিকের নামে রাজ্যে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্য়ালয় রয়েছে। কিন্তু বঙ্কিমচন্দ্রের নামে কোনও প্রতিষ্ঠান নেই। 

    বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর অবদান দেশের এবং রাজ্যের মানুষ ভুলে যাচ্ছে, এই অভিযোগ করে সজল চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ভারতের প্রথম স্নাতক। কিন্তু দেশে এখনও তাঁর নামে কিছু নেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। সাহিত্য সম্রাটের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় করা যায় না? রবীন্দ্র ভবন আছে। বঙ্কিম ভবন আছে কি? নেই। অথচ থাকা উচিত। কেন্দ্রীয় সরকার যদি তা করতে উদ্যোগী হয় তাহলে তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানতে পারবে বন্দেমাতরম কী, কে লেখা হয়েছিল ইত্যাদি। যদি একটি বিশ্ববিদ্যালয় থাকে, তাহলে সেখানকার পড়ুয়ারাও বঙ্কিম চর্চা করতে পারবেন।' 

    সজল চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের প্রতিনিধিরা দিল্লি থেকে বাংলায় এলেই তাঁদের খোঁজ নেন। ফোনে খবরাখবর জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে তেমন কোনও উদ্য়োগ দেখা যায়নি। তিনি বলেন, 'আজ সংসদে যেটা হয়েছে সেটা অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। বন্দে মাতরমকে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অথচ যিনি এটি লিখেছেন তাঁর অবদানকে সম্মান জানানো হয়নি। ফলে পরবর্তী প্রজন্ম বন্দে মাতরম ভুলে যাচ্ছে। তাই মোদীজি যা করেছেন তা ভালো। আমি গর্বিত। আজ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু করেননি। দিল্লি থেকে কেউ এলে, অমিত শাহ, অথবা অন্য কেউ, তাঁরা আমাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। ব্যক্তিগতভাবে ফোন করেন। আমরা রাজনৈতিক লোক নই। আমরা রাজনীতি করি না। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী ম্যাডাম আমাদের কোনও আমন্ত্রণ জানাননি। বঙ্কিমবাবু অবহেলিত। তাঁর লেখা বন্দে মাতরমে সমস্ত হিন্দু দেব-দেবীর নাম রয়েছে, সেই কারমে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বঙ্কিমবাবুর মতো তাঁর পরিবারকেও অবহেলা করা হচ্ছে।' 
  • Link to this news (আজ তক)