কিরণ মান্না: বিধানসভা ভোটের আগে বড় ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে। ফের শুভেন্দুর জেলায় সমবায় সমিতিতে তৃণমূলের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করল তৃণমূল কংগ্রেস। পটাশপুরে—খড়িকা পাটনা নেহেরু সমবায়ে সব আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় ঘাসফুল শিবিরের।
ছাব্বিশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে পটাশপুরে রাজনৈতিক বাতাসে ফের তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তি প্রদর্শন। পটাশপুর ২ ব্লকের খড়িকা পাটনা নেহেরু সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে একচ্ছত্র দাপট দেখাল শাসক দল। রবিবার অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে মোট ৯টি আসনের সবকটিতেই তৃণমূল কংগ্রেস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করে।
এই ভোটে আসনেও প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি বা বিরোধী শিবিরের অন্য কোনও দল। ফলে ভোটগ্রহণ ছাড়াই পূর্ব ঘোষণা মতোই সব আসনে তৃণমূল প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত হয়। এ জয়কে কেন্দ্র করে তৃণমূল শিবিরে দেখা যায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা।
সবুজ আবিরে রাঙিয়ে তোলা হয় চারদিক। বিজয় মিছিল, ঢাক-ঢোল, মিষ্টিমুখ—সব মিলিয়ে এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। জয়ী প্রার্থীদের ফুলের মালা পরিয়ে অভিনন্দন জানান দলেরই কর্মী-সমর্থকেরা।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে এমন একতরফা জয় তৃণমূলের মনোবল আরও বাড়িয়ে দিল বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত।
এই বিষয়ে বিজেপি অভিযোগ, মৃত ভোটার রেখে দেওয়া ছাপ্পা লুট সর্বোপরি নিয়মবহির্ভূত ত্রুটিপূর্ণ এই নির্বাচন। যে কারণে অংশগ্রহণ করেনি বিজেপি।
বিজেপি নেতা গৌরকিশোর মহান্তি বলেন, সমবায়ের নির্বাচনে কোনও রাজনৈতিক ফেস্টুন থাকে না।
উল্লেখ্য, গত ১৮ নভেম্বর কাঁথিতে সমবায় নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে তৃণমূল। কোনও প্রার্থীই দিতে পারেনি বিজেপি। শুভেন্দুর গড়ে এই অবস্থা। আগামী বছরই বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যে এখন চলছে এসআইআর। এই অবস্থায় মনবল অনেকটাই বাড়িয়ে নিল ঘাসফুল শিবির।
সেপ্টেম্বর মাসে কাঁথির বাড়চুনফলি কৃষি সমবায় সমিতির নির্বাচনেও এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে এই জয় ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।
কাঁথি বিধানসভা বিজেপির দখলে। তার মধ্যেই এই বিধানসভার একের পর এক সমবায়ের নির্বাচনে ফুটছে ঘাসফুল। সেই তালিকায় নাম উঠল বাড়চুনফলি কৃষি সমবায় সমিতিরও। ৫৩ আসনের মধ্যে ৩৮ আসনেই জিতল তৃণমূল। বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ১৫ আসন।
এর আগে, হুগলি সমবায় সমিতির ভোটে ৯ আসনে নয়টিতেই জিতেছিল তৃণমূল। খাতাই খুলতে পারেনি বিজেপি। পাইকবাড় সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তৃণমূলই। ৭ আসনে অবশ্য জিতেছে বিজেপিও। ৪ গিয়েছে নির্দলদের দখলে। বাকি ৩৩ আসনেই ফুটেছে খাসফুল।