• মোবাইল না ঘেঁটে এবার পড়তে বস! মায়ের বকুনি খেয়েই 'ফোন রাখো, চললাম' বলে পাখার ব্লেডে এইটের মেয়ে...
    ২৪ ঘন্টা | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • অরূপ লাহা:  মাঠে আলু বসানোর কাজ করছিল বাবা-মা। বাড়িতে ছিল দশম শ্রেণিতে পাঠরতা মেয়ে। তাঁকে জল দিয়ে আসার কথা বলে বাবা। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও সেই কাজ না করে মোবাইল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করায় বাড়ি ফিরে বকুনি দিয়েছিলেন মা। এর জেরে অভিমানে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ওই কিশোরী। প্রায় দু’সপ্তাহ পর কালনা মহকুমা হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হল। মোবাইল আসক্তি ও পড়াশোনায় অমনযোগীতার জন্য  প্রায়ই মায়ের বকুনি খেত ওই ছাত্রী। শেষে অভিমানে ইঁদুরমারা বিষ খেয়ে ফেললেন অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ওই ছাত্রী।

    পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার গ্রামডিহি গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। মৃতের নাম বর্ষা সাঁতরা (১৪), গ্রামডিহি কালিপদ হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। জানা গিয়েছে, মোবাইলে অতিরিক্ত সময় কাটানো ও পড়াশোনায় অমনযোগী হওয়ার কারণে শনিবার মেয়েকে বকেছিলেন মা কবিতা সাঁতরা। অভিযোগ, এরপর অভিমানে বাড়িতে রাখা ইঁদুরমারা বিষ খেয়ে ফেলে বর্ষা। বিষয়টি বুঝতে পেরে পরিবারের সদস্যরা তড়িঘড়ি তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

    চিকিৎসা চলছিল কয়েকদিন ধরে। তবে রবিবার গভীর রাতের পর, সোমবার ভোররাত দু’টো নাগাদ মৃত্যু হয় বর্ষার।

    ঘটনার পর ভাতার থানার পুলিস অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

    এর আগে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুরের বাউনিয়া ঘোষপাড়া গ্রামে, ফোনে আসক্তিতে (Mobile Addiction) মায়ের বকুনি। আর তাতেই অভিমানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিল (Suicide) মেয়ে। 

    জানা গিয়েছে, বছর ১৪-র নাবালিকা মিলি ঘোষ অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। মারাত্মক ফোনে আসক্তি ছিল তার। পড়াশোনা বন্ধ করে দিনের প্রায় বেশিরভাগ সময়ই ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকত। অনলাইন থাকত সারাদিন। পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়ার কারণেই বকাবকি করেছিল মা। তার পরিণতিতেই চরম কান্ড ঘটিয়ে বসে মেয়ে।

    ফোনে আসক্তির কারণে মাঝে মাঝেই মেয়েকে শাসন করত মা। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মিলি যে ফোনে আসক্তির কারণে এমন ভয়ঙ্কর কান্ড ঘটিয়ে বসবে, তা দুঃস্বপ্নেও ঘুণাক্ষরে ভাবতে পারেননি বাড়ির কেউ। আকস্মিক এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ পরিবার। মেয়ের মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা পরিবারে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় কাশীপুর থানার পুলিস। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।

    আবার, অপর একটি ঘটনায়, ঘরের কাজ না করায় মায়ের বকুনি। আর তাতেই অভিমানে আত্মঘাতী হল নবম শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার মছলন্দপুরের বেলডাঙায়। মৃতার নাম সরস্বতী মধু। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    জানা গেছে, সরস্বতী স্থানীয় মছলন্দপুরের ভুদেব স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। গত শুক্রবার টোটোর ধাক্কায় গুরুতর জখম হন সরস্বতীর মা। বুধবার সকালে মেয়েকে ঘরের কিছু কাজ করে দিতে বলেন অসুস্থ মা। এ নিয়েই চলে মা-মেয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি। রেগে গিয়ে মেয়েকে বকুনি দেন তিনি। পুলিসের ধারণা এর পরেই গলায় ওরনায় ফাঁস দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে পড়ে কিশোরী। হাবরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

    আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ... 

    iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১

    কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭

    ২৪x৭ টোল-ফ্রি মানসিক স্বাস্থ্য পুনর্বাসন হেল্পলাইন-- কিরণ (১৮০০-৫৯৯-০০১৯)

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)