পয়লা বৈশাখ হোক পশ্চিমবঙ্গের ‘প্রতিষ্ঠা দিবস’, রাজ্যসভায় জোরাল দাবি ঋতব্রতের
প্রতিদিন | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: পয়লা বৈশাখ দিনটিকে পশ্চিমবঙ্গের ‘প্রতিষ্ঠা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দিক কেন্দ্রীয় সরকার। আজ, মঙ্গলবার সংসদে এই দাবি তুললেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা ও বাঙালির অস্মিতা নিয়ে লড়াই করছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা অত্যাচারিত হচ্ছেন, তাঁদের ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে! তাই নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সংসদেও বাংলায় কথা বলা নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। সেই আবহে এবার পশ্চিমবঙ্গের ‘প্রতিষ্ঠা দিবস’ প্রসঙ্গে জোরালো সওয়াল করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ।
সংসদে শীতকালীন অধিবেশন চলছে। আজ, সোমবার রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখেন সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। পয়লা বৈশাখ দিনটিকে পশ্চিমবঙ্গের ‘প্রতিষ্ঠা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দিক কেন্দ্রীয় সরকার। সেই দাবি তুলেছেন তিনি। ২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ১ বৈশাখকে রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে প্রস্তাব পাশ হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সেই প্রস্তআব পাশ করেছিলেন। সেই বিষয়কে মনে করিয়ে সাংসদ বলেন, “১ বৈশাখের সঙ্গে বাঙালির সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে।” বাংলার পাঁচহাজার বছরের প্রাচীন ইতিহাসের কথাও স্মরণ করিয়েছেন তিনি। এশিয়ার প্রথম কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, চিকিৎসাক্ষেত্র সব কিছুই শুরু হয়েছিল বাংলা থেকে। সেই কথাও এদিন মনে করান তৃণমূল সাংসদ।
‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ বিজেপির পছন্দের ২০ জুন পালিত হোক, চায় না রাজ্য সরকার। ১ বৈশাখ বাংলা নববর্ষের দিন পশ্চিমবঙ্গের ‘প্রতিষ্ঠা দিবস’ পালিত হোক। এই প্রস্তাব রাজ্যের শাসক দলের তরফে আনা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে বার্তাও দেন। ২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ১ বৈশাখকে রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে প্রস্তাব পাশ হয়েছিল। পরবর্তীতে এই দিনকে রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে ঘোষণাও করে। শুধু তাই নয়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটিকে রাজ্য সঙ্গীতের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।