• ‘৯৯৯ বা ৯৯৯৯, অপমানের তালিকা বানান, এবার নেহরু-তর্ক শেষ করুন’! মোদিকে বললেন প্রিয়াঙ্কা
    প্রতিদিন | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভায় বন্দে মাতরম নিয়ে আলোচনায় সরাসরি জওহরলাল নেহরুকেই নিশানা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এ বার তার জবাব দিলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তাঁর কটাক্ষ, মোদি যত দিন ধরে প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন, প্রায় তত দিন ধরে নেহরু জেল খেটেছেন স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য। পাশাপাশিই প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর দাবি, নেহরুকে নিয়ে যত অভিযোগ রয়েছে, সে সব নিয়ে আলোচনা হোক সংসদে। চিরতরে এই বিতর্ক শেষ করা হোক।

    সোমবার সংসদে মোদি বলেন, মহম্মদ আলি জিন্না বন্দে মাতরমের বিরোধী ছিলেন। সে ব্যাপারে জিন্নার সঙ্গে সহমত পোষণ করতেন নেহরু। বন্দে মাতরম মুসলিমদের প্ররোচিত করতে পারে, এই মর্মে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকেও নেহরু চিঠি লিখেছিলেন বলে দাবি করেছেন মোদি। তাঁর এই বয়ানের জবাব আগেই খণ্ডন করেছে কংগ্রেস। মোদির ভাষণের পর কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগই সংসদে বলেন, “মুসলিম লিগ চেয়েছিল বন্দে মাতরম বাতিল হয়ে যাক। কিন্তু কংগ্রেস কি মুসলিম লিগের কথায় চলবে? মৌলানা আজাদ সেই সময় বলেছিলেন, বন্দে মাতরমে তাঁর আপত্তি নেই। এটাই ফারাক কংগ্রেস আর মুসলিম লিগের মধ্যে।”

    পরে মোদির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কাও। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ১২ বছর ধরে ওই পদে রয়েছেন। জওহরলাল নেহরু প্রায় এতগুলো বছরই জেলে থেকেছেন স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়। তার পর উনি ১৭ বছর প্রধানমন্ত্রী থেকেছেন। আপনি (মোদির উদ্দেশে) অনেক সমালোচনা করেন। কিন্তু উনি ইসরো তৈরি না করলে আপনি মঙ্গলযান পেতেন না। উনি ডিআরডিও তৈরি না করলে, আপনি তেজস পেতেন না। উনি আইআইটি, আইআইএমস শুরু না করলে, তথ্য প্রযুক্তিতে আমরা পিছিয়েই থাকতাম। উনি এইমস শুরু না করলে, আমরা কী ভাবে করোনা পরিস্থিতি সামলাতাম? জওহরলাল নেহরু দেশের জন্যই বেঁচেছেন, দেশের সেবা করতে গিয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।”

    নেহরুর বিরুদ্ধে যত অভিযোগ রয়েছে, মোদিকে তার তালিকা তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেন, “সংখ্যাটা ৯৯৯ বা ৯৯৯৯, যা-ই হোক না কেন, তালিকা তৈরি করুন। তার আমরা সময় নির্ধারণ করে সংসদে আলোচনা শুরু করি। ঠিক যে ভাবে আজ বন্দে মাতরম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আপনার যত ইচ্ছে, আলোচনা করুন। তর্ক করুন। কিন্তু চিরদিনের জন্য এই তর্ক শেষ করুন। গোটা দেশ আপনাদের অভিযোগ শুনবে। নেহরুজি, ইন্দিরাজি, রাজীবজিকে নিয়ে আপনাদের অভিযোগ শোনা হবে। তার পর বেকারত্ব আর জিনিসপত্রের দামবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হবে।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)