• ‘দাদা বাবরি মসজিদের জন্য টাকা দেব’, নাম বিভ্রাটে পরপর ফোনে বিড়ম্বনায় আরেক হুমায়ুন
    প্রতিদিন | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’জনেই হুমায়ুন কবীর। একজন তৃণমূলের সাসপেন্ডেড বিধায়ক। অন্যজন বিধায়ক পদে রয়েছেন। প্রথমজন চর্চায় আর দ্বিতীয়জন কার্যত বিড়ম্বনায়। ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদ তৈরি করছেন। আর পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক এই মুহূর্তে মহা সমস্যায় পড়েছেন! কারণ, নাম বিভ্রাট। তার জেরে বাবরি মসজিদের জন্য অনুদান দিতে চেয়ে পরপর ফোন আসছে তাঁর কাছে। প্রথমে মানুষজনকে ফোনে বুঝিয়েওছিলেন, তিনি সেই হুমায়ুন কবীর নন। কিন্তু সেই ফোনের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ফলে এই মুহূর্তে বিড়ম্বনায় ডেবরার বিধায়ক, সেকথা বলাই যায়।

    শনিবার মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে সাসপেন্ড করেছে। বাবরি মসজিদ তৈরির জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুদান আসার কথা শোনা যাচ্ছে। লক্ষ লক্ষ টাকাও আসছে বলে খবর। এদিকে একই নাম ডেবরার বিধায়কেরও। ফলে নাম বিভ্রাটে তাঁর কাছেও মসজিদ তৈরির অনুদান নিয়ে ফোন আসছে। বিহার, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ থেকে অনুদান দিতে চেয়ে ফোন আসছে। কিউআর কোড বা অনলাইন পেমেন্টের নম্বর চাওয়া হচ্ছে ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে। গত দু’দিন প্রচুর সংখ্যায় এই ফোন পেয়েছেন ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক।

    কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কী বলছেন হুমায়ুন কবীর? তিনি জানিয়েছেন, গত দু’দিনে প্রায় ২০০ ফোন ধরেছিলেন। ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে অন্য হুমায়ুনকে খোঁজ করা হচ্ছে। তিনি তাঁদের ভুল ভাঙাতে চেষ্টা করেছেন। তাঁর কথায়, “সকলকে বোঝানোর চেষ্টা করছি আমি ওই হুমায়ুন নই।” কিন্তু কবে এই ফোন আসা কমবে? সেই প্রশ্ন থাকছেই।

    ভরতপুরের সাসপেন্ডেড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদ নির্মাণের জন্য রাখা দানবাক্সে জমা পড়েছে নানা দেশের বিদেশি মুদ্রা। সোমবার সন্ধ‌্যা পর্যন্ত বাক্সে মিলেছে মার্কিন ডলার, সৌদি আরবের রিয়াল, মালয়েশিয়ার রিঙ্গিত, বাংলাদেশি টাকা-সহ একাধিক রাষ্ট্রের মুদ্রা। দানবাক্সের অর্থ গুনতে বসা লোকজনও সব মুদ্রার পরিচয় বুঝতে পারেননি বলে স্বীকার করেছেন হুমায়ন ঘনিষ্ঠরা। সন্ধ‌্যা পর্যন্ত হুমায়নের ব‌্যাঙ্ক অ‌্যাকাউন্টে ২ কোটি ১০ লক্ষের কিছু বেশি টাকা ঢুকেছে। ছয়টি দান বাক্সের টাকা গুনে ৩৭ লক্ষ ৩৩ হাজার ভারতীয় টাকা পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি হুমায়ুন অনুগামীদের। এদিকে নানা মহল থেকে প্রস্তাবিত মসজিদের বাবরি নাম রাখা নিয়ে বির্তকের জেরে এদিন কিছুটা পিছু হটে হুমায়ন বলেছেন,‘‘বাবরের নাম দিয়ে প্রতিটা ইট বা রড গাঁথা হবে না। মসজিদ নির্মাণ হওয়ার পর বাবরের নামে একটি গেট করা হবে।’’
  • Link to this news (প্রতিদিন)