দেশের প্রতি রাজ্যে বঙ্কিমচন্দ্রের নামে হোক বিশ্ববিদ্যালয়, জোরাল দাবি সাহিত্যিকের উত্তরসূরীর
প্রতিদিন | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে যা হচ্ছে, তা দেখে বাঙালির লজ্জা লাগা উচিত! ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন ‘বন্দে মাতরমে’র রচয়িতা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের এক উত্তরসূরী সজল চট্টোপাধ্যায়। বাংলায় সব জায়গায় রবীন্দ্রভবন থাকলেও বঙ্কিমভবন নেই। সেই উষ্মাও তিনি প্রকশ করেছেন। কেন্দ্রের মোদি সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। সংসদে বন্দে মাতরত গান হিসেবে সম্পূর্ণ গাওয়া হোক। সেই দাবি তুলেছেন সজল। শুধু তাই নয়, দেশের প্রতি রাজ্যে বঙ্কিমচন্দ্রের নামে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির দাবিও জানানো হয়েছে।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বন্দেমাতরম গানের এবার ১৫০ বছর। বন্দে মাতরম ভারতের জাতীয় গান। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই ১৫০ বছর উদযাপন করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। সংসদে শীতকালীন অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বক্তব্য রাখেন। তাঁর বক্তব্যে শুরু হয় বিতর্ক। সংসদে ‘বন্দে মাতরম’ আলোচনায় গানের রচয়িতা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে ‘বঙ্কিমদা’ বলে সম্বোধন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এই ঘটনায় তীব্র আপত্তি জানাল তৃণমূল। আপত্তির জেরে, ভাষণের মাঝেই ভুল শুধরে শেষে ‘বন্দে মাতরম’-এর স্রষ্টাকে ‘বঙ্কিম বাবু’ বলে সম্বোধন করলেন মোদি।
তবে শুরু থেকে নিজের ভাষণে ‘বন্দে মাতরম’-এর রচয়িতা বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে ‘বঙ্কিমদা’ বলে উল্লেখ করছিলেন মোদি। এতেই আপত্তি তোলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। বার তিনেক আপত্তির পর সৌগতর কথা পৌঁছয় মোদির কানে। দমদমের সাংসদ বলেন, ‘অন্তত বাবু বলুন।’ সঙ্গে সঙ্গে ভাষণ থামান মোদি। ভুল শুধরে তিনি বলেন, “আপনার ভাবনাকে আমি সম্মান করি। বঙ্কিমদা বলা আমার ভুল। ওনাকে ‘বঙ্কিমবাবু’ বলছি।” পাশাপাশি সৌগতকে দাদা সম্বোধন করে ধন্যবাদ জানিয়ে খানিক মশকরার সুরে মোদি বলেন, ”আপনাকেও তো দাদা বলেই সম্বোধন করি।” এরপর থেকে পুরো ভাষণে ‘বন্দে মাতরম’-এর রচয়িতাকে বঙ্কিমবাবু বলেই উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই নিয়ে দিনভর রাজনৈতিক চাপানউতোড় চলে রাজনৈতিক মহলে।
এদিকে একাধিক ইস্যুতে মুখ খুলেছেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উত্তরসূরী সজল চট্টোপাধ্যায়। তিনি মোদি সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায় তিনি সহমতও হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, সংসদে বন্দে মারতম এতদিন ইনস্ট্রুমেন্টাল হিসেবে বাজানো হত। যেভাবে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়, তেমন করে এবার বন্দে মাতরম গানটিও সম্পূর্ণভাবে গাওয়া হোক। তাঁর কথায়, “কেন্দ্রীয় সরকার যা করছে, তার জন্য স্যালুট।”
“বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ভারতের প্রথম গ্র্যাজুয়েট। তাঁর নামে কী আছে? যা আছে তা নিজের সম্পত্তি।” সেই ক্ষোভও তিনি প্রকাশ করেছেন। দেশের প্রতিটি রাজ্যে বঙ্কিমচন্দ্রের নামে বিশ্ববিদ্যালয় হোক। সেই দাবিও করা হয়েছে। বাংলার সব জায়গায় রবীন্দ্রভবন থাকলেও বঙ্কিমভবন নেই। সেই বিষয়েও তাঁর কথায় উষ্মাপ্রকাশ পেয়েছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।