রায়পুর: মাওবাদী সংগঠনে বড়সড় ভাঙন। সোমবার সাতসকালে ছত্তিশগড়ের বকরকাট্টায় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন শীর্ষস্থানীয় মাওবাদী নেতা রামধর মাজি। মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। সম্প্রতি নিহত মাওবাদী নেতা হিদমার মতোই একসারিতে উচ্চারিত হত রামধরের নাম। নিষিদ্ধ সিপিআইয়ের (মাওবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি। এছাড়াও আত্মসমর্পণ করেছেন ৬ জন মহিলা সহ ১১জন নেতা। চারটি ডিভিশনের নেতৃত্বে ছিলেন এঁরা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই আত্মসমর্পণের সঙ্গে সঙ্গেই মহারাষ্ট্র-মধ্যপ্রদেশ-ছত্তিশগড় (এমএমসি) জোনে মাওবাদী কার্যকলাপ চূড়ান্তভাবে ভেঙে পড়ল। বিশেষ করে মধ্যপ্রদেশ মাওবাদী মুক্ত হয়ে গেল বলে প্রশাসনের দাবি। এই আত্মসমর্পণের ঘটনাকে রাজ্য সরকারের পুনর্বাসন প্রকল্পের সাফল্য বলেও প্রচার শুরু করেছে মোহন যাদব সরকার।
সোমবার রাজনন্দগাঁও জেলার কুম্ভি গ্রামে নিজের একে-৪৭ রাইফেলটি পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে আত্মসমর্ণের কথা ঘোষণা করেন রামধর। এরপর নিজেদের কাছে থাকা অস্ত্রগুলি তুলে দেন ডিভিশনাল কমিটি মেম্বার (সিভিসিএম), এরিয়া কমিটি মেম্বাররা (এসিএম)। এঁদের মধ্যে রয়েছেন চান্দু উসেন্ডি, ললিতা, জানকী, প্রেম, রামসিং দাদা এবং সুকেশ পোত্তাম। বাজেয়াপ্ত অস্ত্রগুলির মধ্যে রয়েছে একটি ইনসাস অ্যাসল্ট রাইফেল, একটি এসএলআর, একটি পয়েন্ট থ্রি নট থ্রি রাইফেল, একটি কার্বাইন। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, এবার এঁদের পুনর্বাসন প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হবে।
২৯ নভেম্বর গোন্ডিয়াতে আত্মসমর্পণ করেন অনন্ত ওরফে বিকাশ নাগপুরে। এরপর থেকেই ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়েন রামধর। তখনই বেশ কয়েকজন অনুগামীকে নিয়ে ছত্তিশগড়-মধ্যপ্রদেশের গভীর জঙ্গলে গা ঢাকা দেন তিনি। তবে রামধরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন অনন্ত। রামধরের আত্মসমর্পণ নিয়ে অনন্তই প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়েছিলেন বলে খবর।