ভারতে হামলার ছক, হাত মিলিয়েছে লস্কর-জয়েশ! পাকিস্তানে দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর বৈঠক
বর্তমান | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
নয়াদিল্লি: ভারতের বুকে নাশকতা চালাতে হাত মিলিয়েছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তোইবা ও জয়েশ-ই-মহম্মদ! গোয়েন্দা সূত্রে এমনই তথ্য সামনে এসেছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে বৈঠক হয় দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর। বাহাওয়ালপুর হল জয়েশের মূল ঘাঁটি। সেখানে বৈঠকে লস্করের ডেপুটি চিফ সইফুল্লাহ কাসুরির সঙ্গে দেখা গিয়েছে জয়েশের কমান্ডারদের। বাহাওয়ালপুরের এই জঙ্গিঘাঁটি অপারেশন সিন্দুরে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারত।
পহেলগাঁও জঙ্গি হানায় ২৬ নিরীহ মানুষের মৃত্যুর নেপথ্যে ছিল লস্কর। আর দিল্লির লালকেল্লায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে জয়েশ-যোগ উঠে এসেছে। পাক সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের মদতে ভারতের মাটিতে চলতি বছরে এই দুই ভয়াবহ হামলার সঙ্গে যুক্ত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির বৈঠক নিঃসন্দেহে আশঙ্কার মেঘ তৈরি করেছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ভারতের হামলায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া রাওয়ালকোটের জঙ্গি ঘাঁটিগুলি নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ভারতে ফের ফিঁদায়ে হামলার জন্য সুইসাইড স্কোয়াড তৈরি করছে জয়েশ। ইতিমধ্যেই অর্থসংগ্রহও শুরু করেছে তাঁরা। দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্ত করতে গিয়ে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, পাকিস্তানের অ্যাপ সদাপে সহ একাধিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে টাকা তুলছে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি।
দিল্লি বিস্ফোরণের কয়েকদিন আগেই গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছিল, জম্মু-কাশ্মীরকে টার্গেট করে পাক জঙ্গিদের তৎপরতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। সেই রিপোর্টেই লস্কর ও জয়েশের একযোগে হামলা করতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছিল। সেপ্টেম্বর মাস থেকেই অনুপ্রবেশের পাশাপাশি রেইকি এবং সীমান্ত পার থেকে লজিস্টিক সাপোর্টও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছিল জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি। যার নেপথ্যে পাকিস্তানের স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপ (এসএসজি) ও আইএসআই।
সেপ্টেম্বর মাসে উঠে আসা ছবিতে দেখা গিয়েছিল, পাকিস্তানের অন্দরে নতুন করে ঘাঁটি গড়ে তুলছে জঙ্গিরা। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের লোয়ার ডির এলাকায় তৈরি হচ্ছে মারকাজ জিহাদ-ই-আকসা নামে জঙ্গিঘাঁটি । যদিও লস্করের মুখপাত্র আমির জিয়া এটিকে মসজিদ হিসেবে দাবি করেছিল। জানা যাচ্ছে, অপারেশন সিন্দুরের পর এই মরকজ জিহাদ-ই-আকসায় ঘাঁটি গেড়েছে লস্কর ও জয়েশের একাংশ। ভারতের হামলায় ভিমবের-বারনালার জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর এটাই এই মুহূর্তে লস্করের সুইসাইড বোম্বার ইউনিটের সদর দপ্তর।