পরীক্ষার আয়োজনে ব্যর্থ এনটিএ রিপোর্ট পেশ শিক্ষা সংসদীয় কমিটির, ২০২৪ সালে ৫টি পরীক্ষায় সমস্যায় পড়ুয়ারা
বর্তমান | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দায়িত্ব নিয়েও ঠিকমতো পরীক্ষার আয়োজনই করতে পারছে না এনটিএ (ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি)। ২০২৪ সালে ১৪টির মধ্যে পাঁচটিতেই সমস্যার শিকার হতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। অন্যদিকে, ‘ন্যাকে’র বিরুদ্ধে উঠছে ঘুষ নেওয়া এবং একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ। আবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে চেয়ারম্যানের পদই খালি পড়ে রয়েছে। তার প্রভাব পড়ছে কমিশনের অন্যান্য কাজকর্মেও। এহেন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে কার্যত তুলোধোনা করা হল শিক্ষা সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির রিপোর্টে। সোমবারই এসংক্রান্ত রিপোর্ট সংসদে পেশ করেছে কংগ্রেস এমপি দিগ্বিজয় সিংয়ের নেতৃত্বাধীন কমিটি।
এনটিএ কর্তৃপক্ষের কড়া সমালোচনা করে সংসদীয় কমিটি বলেছে, ইউজিসি-নেট, সিএসআইআর-নেট এবং নিট-পিজি পরীক্ষাকে স্থগিত করে দিতে হয়েছে। নিট-ইউজি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের মতো গুরুতর অভিযোগ সামনে এসেছে। সিইউইটি (ইউজি/পিজি) পরীক্ষার ফলপ্রকাশই করা যায়নি। গত জানুয়ারিতে জেইই-মেইন পরীক্ষায় অন্তত ১২টি প্রশ্ন তুলে নিতে হয়েছে। কারণ সেইসব প্রশ্ন সম্পূর্ণভাবে ত্রুটিপূর্ণ ছিল। শুধু তাই নয়। শিক্ষা সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি তার রিপোর্টে জানিয়েছে, বিগত পাঁচ বছরে সিইউইটি পরীক্ষার একটির ফলও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকাশ করতে পারেনি ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। এর ফলে ছাত্রছাত্রী এবং তার অভিভাবকদের চরম সমস্যায় পড়তে হয়েছে। কারণ এতে সার্বিকভাবে ভর্তি প্রক্রিয়ায় গুরুতর প্রভাব পড়েছে। অবিলম্বে এব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এনটিএকে সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। তবে খাতায়-কলমে পরীক্ষার (কম্পিউটার বেসড পরীক্ষার পরিবর্তে পেন অ্যান্ড পেপারে দেওয়া) ব্যাপারকে মন্দের ভালো বলেই মনে করছে সংসদীয় কমিটি।
এরই পাশাপাশি ‘ন্যাকে’র কাজকর্মে আরও বেশি স্বচ্ছতা আনার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে রিপোর্টে। বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের এপ্রিল মাস থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ খালি রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব, এই পদে নিয়োগ করতে হবে। কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে খসড়া ইউজিসি বিল নিয়েও। রিপোর্টে লেখা হয়েছে, অন্তত ১০টি রাজ্য সরকার এই খসড়া বিলের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠি লিখেছে। যদিও তা এখনও আলোচনাস্তরে রয়েছে। জানা গিয়েছে, এহেন খসড়া বিল নিয়ে অবিলম্বে সিএবিই’র (সেন্ট্রাল অ্যাডভাইসরি বোর্ড অব এডুকেশন) সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য কমিশনকে সুপারিশ করেছে শিক্ষা সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।