• ৫ বছরে সাইবার জালিয়াতি ৩ হাজার ৫৮৮ কোটি টাকা, এপর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে মাত্র ২৩৮ কোটি
    বর্তমান | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা চালু হওয়ায় গত পাঁচ বছরে সাইবার জালিয়াতির সংখ্যা বেড়েছে। লোকসভায় জানাল মোদি সরকার। সাইবার ফ্রড নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ জুন মালিয়া। তারই জবাবে অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী লিখিতভাবে জানিয়েছেন, গত পাঁচ বছরে ডিজিটাল পেমেন্টের জেরে ৫ লক্ষ ৮৩ হাজার ২৯১টি জালিয়াতি হয়েছে। যার আর্থিক অঙ্কের পরিমাণ ৩ হাজার ৫৮৮ কোটি টাকা। অথচ উদ্ধার হয়েছে মাত্র ২৩৮ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি জালিয়াতি হয়েছে ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনে। আধার কার্ড নম্বর দেওয়ানে ওয়ার মাধ্যমে লেনদেনেও জালিয়াতির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। গত বছর যে সংখ্যা ছিল ৩৬৬। এবার তা হয়েছে ৯৮০ টি। 

    অন্য঩দিকে, বিকশিত ভারতের স্লোগান তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু আগামী পাঁচ বছরে নাগরিকদের উপার্জন বৃদ্ধির কোনও টার্গেটই নেই সরকারের। উপার্জন বৃদ্ধির বার্ষিক হারও বছর বছর কমছে। সোমবার লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ মালা রায়ের এক প্রশ্নের উত্তরে লিখিতভাবেই একথা জানিয়ে দিল কেন্দ্র। ভারতীয়দের জনপ্রতি উপার্জন কত, আগের চেয়ে বেড়েছে, নাকি কমেছে, ইত্যাদি জানতে চেয়েছিলেন দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালাদেবী। জবাবে অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী লিখিতভাবে জানিয়েছেন, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের হিসেবে বছরে সাধারণের গড় উপার্জন ২ লক্ষ ৫ হাজার ৩২৪ টাকা। অর্থাৎ মাসে ১৭ হাজার ১১০ টাকা। 

    তবে বছর বছরের হিসেবে বলা হয়েছে, ২০২১-২২ থেকে উপার্জন বৃদ্ধির বার্ষিক হার কমছে। ১৮.৬ শতাংশ থেকে হয়েছে ৮.৭ শতাংশ। জনধন যোজনায় অকেজো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নিয়ে প্রশ্ন করেন মহুয়া মৈত্র এবং জুন মালিয়া। সরকার লিখিত জবাবে জানিয়ে দেয়, দেশে ৫৭.০৭ কোটি প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তার মধ্যে ১৫.০৯ কোটি অকেজো (ইনঅপারেটিভ)। আর অ্যাকাউন্টে ৫০০ টাকার কম রয়েছে, এমন অ্যাকাউন্টের কোনও হিসেব রাখে না সরকার।
  • Link to this news (বর্তমান)