• অগ্নিকাণ্ড: প্রকাশ্যে প্রশাসনিক গাফিলতি, ইন্ডিগো বিমানে ফুকেত পালালেন গোয়ার নাইট ক্লাবের দুই মালিকই
    বর্তমান | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • পানাজি: আগুনে ছারখার উত্তর গোয়ার ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’ নাইটক্লাব। ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বার কাউন্টার থেকে স্টেজ। সর্বত্র শুধুই ছাই আর শূন্যতা। শনিবার রাতের ওই ঘটনার পরই নাইটক্লাবের জেনারেল ম্যানেজার সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু ফেরার ক্লাবের মালিক সৌরভ ও গৌরব লুথরা। অভিযুক্তরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন, সেজন্য লুক-আউট নোটিশও জারি করা হয়েছে। যদিও এরইমধ্যে দুই মালিক বিদেশে পালিয়েছেন বলে খবর। জানা গিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের মাত্র পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে মুম্বই থেকে ইন্ডিগোর বিমানে তাঁরা থাইল্যান্ডের ফুকেতে চলে গিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় প্রশাসনের চূড়ান্ত গাফিলতির বিষয়টিই বেআব্রু হয়ে গিয়েছে। এমনকি, প্রভাবশালী মহলে তাঁদের যোগসাজশ থাকারও অভিযোগ উঠেছে। 

    অগ্নিকাণ্ডের পরই সৌরভ ও গৌরব গা ঢাকা দেন। তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। ফেরার অবস্থাতেই সোশ্যাল মিডিয়া মারফৎ বার্তা দেন সৌরভ। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি সমস্তরকম সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই ক্ষতি অপূরণীয়। এই কঠিন সময়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফে ক্ষতিগ্রস্তদের সমস্তরকম সাহায্য করা হবে। শনিবার রাতের ওই ঘটনার পরই নাইটক্লাবের জেনারেল ম্যানেজার সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়া পুলিশের একটি দল এসে দিল্লিতে গৌরব ও সৌরভের বাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু তাঁদের পাওয়া যায়নি। এরইমধ্যে শনিবার লুক আউট নোটিশ জারি হয়। মুম্বইয়ের অভিবাসন বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্য উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, তার আগেই শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার বিমানে তাঁরা ফুকেত পাড়ি দেন। 

    তদন্তে ইতিমধ্যেই একের পর এক গাফিলতি সামনে এসেছে। স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধেও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র ছিল নাওই ক্লাবের। সূত্রের খবর, স্থানীয় প্রশাসনের একাংশের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল ক্লাব মালিকদের। তাঁদের প্রশ্রয়েই রমরমিয়ে চলছিল নাইটক্লাবটি।
  • Link to this news (বর্তমান)