• বাগনানে নৃশংস অত্যাচারে মৃত্যু মায়ের, গ্রেফতার গুণধর ছেলে
    বর্তমান | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: বৃদ্ধা মাকে নৃশংসভাবে মারধর করত গুণধর ছেলে। সেই ছেলের মারেই শেষমেশ মৃত্যু হল মায়ের। তবে আশপাশের লোক যাতে বুঝতে না পারে, সেকারণে মায়ের দেহের উপর চাদর চাপা দিয়ে প্রতিবেশীদের ডাকতে যায় ছেলে। যাতে তাঁরা ভাবেন অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধার। কিন্তু মৃতদেহ দেখেই সন্দেহ হয় পড়শিদের। ছেলে যে তাঁকে প্রায়ই মারধর করতো, তা জানতেন তাঁরা। প্রতিবেশীরা ছেলের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারতে গেলে সে অন্য ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় এবং বন্ধুদের ফোন করে বিষয়টি বলে। তাঁরাই থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে এবং গুণধর ছেলেকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে গ্রেফতার করা হয় তাকে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেলে বাগনান থানার কল্যাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজাপাড়ায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম সোমা বেরা (৬৫)। ছেলের নাম অভিষেক বেরা। পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়ার শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় প্রতিদিন অভিষেক মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ফিরে অশান্তি করতো। মায়ের পাশাপাশি স্ত্রী ও মেয়েকেও মারধর করত। সেকারণে স্ত্রী ও মেয়ে তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। এই যুবকের বিরুদ্ধে বাগনান থানায় মামলা ঝুলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অভিষেক তার মাকে প্রায়ই মারধর করত। ছেলের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে তিনি মাঝেমধ্যে অন্যত্র গিয়ে থাকতেন। কিছুদিন আগে বাড়িতে এসেছিলেন। 

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সোমবার সকালে মাকে ব্যাপক মারধর করে সে। দুপুরের পর বৃদ্ধা মারা যান। এরপরেই নাটক শুরু করে গুণধর ছেলে। মায়ের মৃতদেহ চাদর দিয়ে ঢেকে দিয়ে প্রতিবেশীদের ডাকতে যায়। তাঁরা এসে সোমাদেবীকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। সকালের অত্যাচারের বিষয়টি যেহেতু সকলেই জানতেন, তাই তাঁরা নিশ্চিত, ওই মারধরের কারণেই মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধার। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। 
  • Link to this news (বর্তমান)