• হোটেল-গেস্ট হাউসে কড়া নজর পুলিশের, দেখা হচ্ছে রেজিস্টারও, সল্টলেক-নিউটাউন-এয়ারপোর্ট-বাগুইআটি
    বর্তমান | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: নিউটাউন থেকে সল্টলেক, এয়ারপোর্ট থেকে বাগুইআটি, রাজারহাট। নিরাপত্তা ও সুরক্ষার স্বার্থে হোটেল, গেস্ট হাউসের উপর আগেই নজরদারি শুরু করেছিল বিধাননগর কমিশনারেট। সেই নজরদারির কাজে আরও বাড়তি গুরুত্ব আরোপ হল। কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেক থানার পক্ষ থেকে পুলিশকর্মীরা নিজের এলাকায় থাকা হোটেল ও গেস্ট হাউসগুলিতে যাচ্ছেন। হোটেল কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি অতিথিদের রেজিস্টার খতিয়ে দেখছেন। নিয়মিত অতিথি তালিকা বানানো হচ্ছে কি না, অতিথিদের কাছ থেকে পরিচয়পত্র দেখে নেওয়া হচ্ছে কি না, কোনও সন্দেহজনক অতিথির যাতায়াত রয়েছে কি না ইত্যাদি বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে সহযোগিতা করছে। টানা কয়েকদিনের অভিযানে কোথাও কোনও অনিয়ম ধরা পড়েনি।

    নিউটাউন, সল্টলেক, রাজারহাট, বাগুইআটি, বিমানবন্দর সহ বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় কয়েকশো হোটেল ও গেস্ট হাউস আছে। গত জুলাই মাসে পাটনার শ্যুটআউট কাণ্ডের অভিযুক্তরা কলকাতার আনন্দপুর গেস্ট হাউস থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর হোটেল-গেস্ট হাউসের উপর বাড়তি নজরদারি শুরু হয়। ওই সময় বাগুইআটি ও বিমানবন্দর থানা এলাকার হোটেল, গেস্ট হাউস ও লজ মালিকদের নিয়ে একটি সমন্বয় বৈঠক হয়েছিল। সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু গাইডলাইন দেওয়া হয়েছিল তাঁদের। অতিথিদের রিয়েল টাইম ডেটাবেস আপলোড, ভিন রাজ্যের সন্দেহজনক কেউ অতিথি হিসেবে এলে থানায় জানানো, প্রবেশ ও প্রস্থান পথে সিসি ক্যামেরা বসানো, ভিজিটর রেজিস্টার, হোটেলের বৈধ সরাই (এসএআরএআই) লাইসেন্স, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা সহ সমস্ত বিধিনিষেধের বিষয়ে জানানো হয়েছিল। তা কড়াভাবে মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। 

    সম্প্রতি নজরদারি অভিযানে গিয়ে এই সমস্ত বিষয়গুলি নিয়ে পুলিশ আরও একবার সচেতন করেছে সকলকে। যাতে প্রত্যেকে অবগত থাকে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে প্রত্যেকে যেন স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে তা নিয়েও সচেতন করা হয়েছে।  প্রসঙ্গত নিউটাউনে রেসিডেন্সিয়াল আবাসনে কোনও অনুমতি ছাড়া ৩৭টি হোটেল ও গেস্ট হাউস চলছিল। সম্প্রতি নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির পক্ষ থেকে ওই হোটেলগুলি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)