• পরিযায়ী শ্রমিক নিগ্রহ: কেন্দ্রের শ্রম মন্ত্রক নীরব অভিষেক-প্রশ্নে
    এই সময় | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • এই সময়: দেশের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে গত কয়েক মাসে একের পর এক বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশি সন্দেহে হেনস্থা, আটক, নিগ্রহ, পুশ–ব্যাকের অভিযোগ উঠেছে। ভাষাগত কারণে পশ্চিমবঙ্গের কত পরিযায়ী শ্রমিককে এই ভাবে আটক করা হয়েছে, অথবা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন— এই তথ্য চেয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছে লিখিত প্রশ্ন করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কেন্দ্রের শ্রম মন্ত্রক সোমবার এই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে পরিযায়ী শ্রমিক–সহ অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের বেতন, যাওয়া–আসার ভাতা, চিকিৎসা, আবাসের কী কী ব্যবস্থা করা হয়েছে তার ফিরিস্তি দিয়েছে।

    শ্রম মন্ত্রক যে দু’পাতার উত্তর দিয়েছে সেখানে পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের বিভিন্ন রাজ্যে নিগ্রহ, আটকের ঘটনা নিয়ে একটি শব্দও উল্লেখ করা হয়নি। তার বদলে ১৯৭৯–এর আইন এখন নতুন শ্রম কোডে কী ভাবে রূপান্তরিত হয়েছে, তার বিবরণ দিয়েছে কেন্দ্র। সেই বিবরণ অনুযায়ী— পরিযায়ী শ্রমিক–সহ অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য সুষ্ঠু কাজের পরিবেশ, সামাজিক সুরক্ষার বন্দোবস্ত, টোল ফ্রি নম্বর প্রভৃতির ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্রের ই–শ্রম পোর্টালে কত অসংগঠিত শ্রমিকের নাম নথিভুক্ত হয়েছে, সেই পরিসংখ্যানও রয়েছে। শুধু বিভিন্ন রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের নিগ্রহ নিয়ে কোনও শব্দ খরচ করেনি কেন্দ্র।

    বাংলাদেশি তকমা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের নিগ্রহ করার ঘটনা নিয়ে সোমবার কোচবিহারের প্রশাসনিক সভা থেকে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘বাংলায় কথা বললেই নাকি বাংলাদেশি! উর্দু ভাষায় তো পাকিস্তানের অনেকে কথা বলেন, আবার বিহার, উত্তরপ্রদেশের অনেকে উর্দু ভাষায় কথা বলেন। ভারতে পাঞ্জাব রয়েছে, পাকিস্তানেও পাঞ্জাব রয়েছে। এঁরা বাংলায় কথা বললে, বাংলাদেশি বলে অসমের মতো কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করব না।’

  • Link to this news (এই সময়)