এই সময়: প্রেমিকার 'প্রতিশোধ' থেকেই ধরা পড়েছিল 'ডক্টর্স মডিউল'? দিল্লি বিস্ফোরণ এবং ফরিদাবাদ বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় চিকিৎসক-জঙ্গিদের যে নেটওয়ার্ক ধরা পড়েছে, তার সূত্রপাত হয়েছিল কাশ্মীরের নওগাম থানা এলাকার একটি পোস্টার ঘিরে। জৈশ-ই-মহম্মদকে সমর্থন করে ভারত-বিরোধী সেই সব পোস্টার সাঁটানোর অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তারের পরেই গোটা মডিউল ক্রমশ প্রকাশ্যে আসে। এ বার জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাদাবি করলেন, পোস্টার সাঁটানো তরুণকে চিহ্নিত করতে পুলিশকে সাহায্য করেছিলেন তাঁরই প্রাক্তন বান্ধবী!
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম আয়োজিত শীর্ষ সম্মেলনে ওমর বলেন, 'পুরো বিষয়টিই ধরা পড়েছিল একটি পোস্টার সাঁটানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে। যে ছেলেটি পোস্টার সাঁটিয়েছিল, তাকে চিহ্নিত করে দেয় তারই প্রাক্তন প্রেমিকা। কারণ ছেলেটি সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। সে কারণে মেয়েটি ক্ষুব্ধ ছিল বলে শুনেছি। তাই পুলিশ যখন পোস্টার নিয়ে খোঁজখবর শুরু করে, তখন সে এসে তার প্রাক্তন প্রেমিককে চিনিয়ে দেয়।'
ওমরের দাবি, এর পরে একে একে ধরা পড়ে ডক্টর্স মডিউলের সঙ্গে যুক্ত বাকিরা। তবে তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর যে সব তথ্য জানার অধিকার রয়েছে, সে সবও কেন্দ্রের তরফে তাঁকে জানানো হয় না। তিনি বলেন, 'তদন্তের এই সব বিষয়গুলি আমি লোকমুখে শুনেছি। আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। অথচ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে আমার সে সব জানার অধিকার রয়েছে।'
তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁকে গত এক বছরে পহেলগাম হামলার মতো ঘটনার সাক্ষী থাকতে হয়েছে। দিল্লি বিস্ফোরণের অন্যতম শিকড়ও এসেছে কাশ্মীরে। এই পরিস্থিতিতে তাঁর অভিযোগ, উপত্যকার নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য সরকারকে অন্ধকারে রেখে কেন্দ্র একক ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়।