গত এক সপ্তাহ ধরে ইন্ডিগোর উড়ান পরিষেবায় বিভ্রাট নিয়ে চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলে সরব বিরোধীরা। এই প্রেক্ষাপটে এ বার উল্লেখযোগ্য বার্তা এল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তরফে। তিনি মঙ্গলবার NDA-র সাংসদদের উদ্দেশে জানিয়েছেন, সরকার কর্তৃক লাগু করা নিয়মনীতির জন্য আম জনতার যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তার কথা জানিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।
রিজিজুর দাবি, ‘প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন সরকারের কোনও নীতির জন্য যাতে সাধারণ মানুষের কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। নিয়মনীতির প্রয়োজন। কিন্তু তা কোনও সিস্টেমকে উন্নতির জন্য প্রয়োজন, সাধারণ মানুষের হেনস্থার জন্য নয়।’
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্পষ্ট শব্দে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষকে হেনস্থার শিকার হতে হয়, এমন কোনও নিয়মনীতি থাকা উচিত নয়। আইন মানুষের কাছে বোঝা হওয়ার জন্য নয়। তাঁদের সুবিধার জন্য।’
সংসদে ‘নির্বাচনী সংস্কার’ নিয়ে আলোচনার আগে NDA সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে এই বার্তা দিয়েছেন মোদী। দেশজুড়ে যখন ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের পরিষেবার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, সেই সময়ে মোদীর এই বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। পরিষেবা এবং যাত্রী সংখ্যার নিরিখে দেশের বৃহত্তম এভিয়েশন সংস্থার একাধিক উড়ান বাতিল হওয়ায় লক্ষ লক্ষ যাত্রীকে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আর পরিষেবা বিভ্রাটের জন্য দেশের ফ্লাইট নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA)-র ‘ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস’ নামক বিধিকে দায়ী করা হয়েছিল। এই বিধি দু’টি দফায় কার্যকর হয়েছিল। দ্বিতীয় দফা কার্যকর হয় নভেম্বর মাসে।
এই বিধিতে পাইলট–ক্রুদের বিশ্রামের সময়সীমা নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়াও বেশ কিছু নিয়ম সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল। আর তা কার্যকর করতে গিয়ে ইন্ডিগোর পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। এর পরে অবশ্য উড়ান পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস (FDTL)-এর একটি ক্লজ তাৎক্ষণিক ভাবে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ডিজিসিএ-এর পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যেই ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্সকে শো-কজ় নোটিস দিয়েছে DGCA।