• ‘নাকখত দিলেও এই ভুলের ক্ষমা নেই’, ‘বঙ্কিমদা’ সম্বোধন নিয়ে মোদীকে তুলোধনা মমতার
    এই সময় | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • লোকসভায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাহিত্যসম্রাট তথা ‘বন্দে মাতরম’-এর স্রষ্টা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে ‘বঙ্কিমদা’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। এই নিয়ে নিন্দায় সরব হয়েছিল তৃণমূল। মঙ্গলবার কোচবিহার থেকে এই ইস্যুতে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘নাকখত দিলেও এই ভুলের ক্ষমা নেই’, হুঙ্কার তৃণমূল সুপ্রিমোর।

    এ দিন কোচবিহার থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে বঙ্কিমদা বলছেন। যেন মনে হচ্ছে শ্যামদা, হরিদা। জাতীয় গানের (ন্যাশনাল সং) প্রতিষ্ঠাতাকে এতটুকু সম্মান দিলেন না! মাথা নীচু করে, নাকখত দিলেও আপনাদের ক্ষমা হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের ইতিহাসকে ওরা অপমান করেছে।’

    উল্লেখ্য, বঙ্গ ভোটের আগে লোকসভায় ‘বন্দে মাতরম’ নিয়ে আলোচনা করায় বাঙালি ভাবাবেগকে প্রভাবিত করতে চাইছে বিজেপি, এই অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। কিন্তু লোকসভার অন্দরে দাঁড়িয়েই আলোচনার সময়ে একাধিক বার হোঁচট খেলেন বিজেপির প্রথম সারির নেতারা। তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায় মোদীকে ‘বঙ্কিমদা’ সম্বোধন থেকে নিরস্ত করার পরে ‘দাদা’ শব্দ ব্যবহার অতি যত্নে এড়িয়ে যেতে চান মোদী। এমনকী, মাস্টারদা সূর্য সেনকেও বলেন ‘মাস্টার সূর্য সেন’। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত আরও একধাপ এগিয়ে বলেছিলেন ‘বঙ্কিম দাস চ্যাটার্জি’। আর লোকসভায় এই সমস্ত মন্তব্যে বেশ অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। এ বার মোদীকে এই নিয়ে তুলোধনা করতে ছাড়লেন না মমতাও।

    কেন্দ্রকে তোপ দেগে মমতা দাবি করেন, রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ চালু করার জন্য একগুচ্ছ শর্ত আরোপ করেছে কেন্দ্র। তিনি সেই শর্তগুলি যে কাগজে নোট নিয়েছিলেন, তা সভামঞ্চে ছিঁড়ে ফেলেন। বলেন, ‘১০০ দিনের কাজ বাংলাই করবে। কেন্দ্রের ভিক্ষে চাই না। এটাই আমাদের প্রতিবাদ।’ তবে ওই কাগজ যে কেন্দ্রের কোনও নির্দেশিকা নয়, তা মঞ্চ থেকেই স্পষ্ট করে দেন তিনি। এ দিন কোচবিহারের সভা থেকে মমতা বলেন, ‘বিএসএফ কারও উপর অত্যাচার করলে মেয়েদের এগিয়ে দিন। মেয়েরা সামনে দাঁড়াবে। ছেলেরা পিছনে থাকবে। আমি দেখতে চাই, মা-বোনেদের ক্ষমতা বেশি, নাকি বিজেপির।’

  • Link to this news (এই সময়)