• টার্গেট একাকী বৃদ্ধা! 'সব নিয়ে নাও প্রাণে মেরো না', ভরসন্ধেয় শহরে দুঃসাহসিক ডাকাতি...
    ২৪ ঘন্টা | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • বিধান সরকার:  ফের টার্গেট একাকী বৃদ্ধা। ভরসন্ধেয় বাড়িতে ঢুকে প্রাক্তন স্কুল শিক্ষিকার মুখ বেঁধে গয়না লুট! দুষ্কৃতীরা অধরা। আতঙ্ক ছড়াল হুগলির চন্দননগরে। 

    স্থানীয় সূত্রে খবর, একসময়ে  রিষড়া বিদ্যাপীঠ গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন বনানী ভট্টাচার্য। বয়স সত্তর পেরিয়েছে। পরিচারিকা তখন অন্য বাড়িতে কাডজে গিয়েছিলেন। গতকাল, সোমবার সন্ধ্যায় চন্দননগরের মানকুন্ডু আশ্রমপাড়ার বাড়িতে একাই ছিলেন ওই বৃদ্ধা। অভিযোগ, বাড়িতে ঢুকে পড়ে দুই দুষ্কৃতী। প্রথমে মুখে সেলোটোপ লাগিয়ে প্রাক্তন শিক্ষিকাকে বেধড়ক মারধর করেন তারা। এরপর যখন গলা টিপতে যায়, তখন তিনি বলেন, 'সব নিয়ে নাও প্রাণে মেরো না'। শেষে ওই বৃদ্ধার হাতের চুরি, গলার হার ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।

    গুরুতর আহত অবস্থায় বনানীকে নিয়ে যাওয়া হয় চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিত্‍সার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই বৃদ্ধা বলেন, 'আমাকে প্রাণে মেরেই ফেলত। গলা টিপে ধরেছিল।ওদের মুখ ঢাকা ছিল আমি ওদের চিনতেও পারিনি। বললাম তোমাদের চিনি না পুলিশ এলে বলব কি। তাই আমাকে ছেড়ে দিল'।

    পাশেই একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন ওই বৃদ্ধার বোন জলি চট্টোপাধ্যায়। রোজই দিদিকে দেখতে আসেন তিনি, কিন্তু গতকাল সোমবার আসেননি। জলি জানান, '২০১৯ সালে জামাইবাবু মারা যান। তারপর থেকে পরিবার দিয়ে পরিচারিকা দিদির বাড়িতেই থাকে। সে সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই ঘটনা ঘটে। আমি খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আসি'।

    পরিচারিকা  সুলেখা গাইন বলেন, 'আমার দশ বছর যখন বয়স তখন থেকেই মামির কাছে আছি। তারপর আমার বিয়ে হয়। আগে অন্য জায়গায় ভাড়ায় থাকতাম। য়েক বছর ধরে মামীর বাড়িতেই থাকি। আমি পাশের বাড়িতে কাজে গিয়েছিলাম। মামির বোন আসবে বলে দরজা খোলা ছিল। আগে কখনও এমন হয়নি'। ঘটনার তদন্তে নেমেছে চন্দননগর থানার পুলিস।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)