• হঠাত্ কিশোরী মেয়ের শরীরে বিরাট বদল, জেরা করতেই বেরিয়ে এল প্রতিবেশী কাকুর...
    ২৪ ঘন্টা | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • প্রদ্যুত্ দাস: প্রতিবেশী কাকুর কুকীর্তিতে গর্ভবতী ১৬ বছরের কিশোরী। সেই মামলায় জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগড়ির ৫০ বছরের এক ব্যক্তিকে ২৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিল জলপাইগুড়ির বিশেষ পস্কো আদালত। পাশাপাশি ওই ব্যক্তিকে জরিমানাও করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ২বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ওই নাবালিকাকে ১০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য লিগ্য়াল এইড সার্ভিসকে নির্দেশ দিল আদালত। মাত্র ৮ মাসের মাথায় রায় বেরিয়ে এল।

    আচমকই ১৬ বছরের ওই নাবালকের শরীরে বিশেষ পরিবর্তন লক্ষ্য করে বাড়ির লোকজন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় এক চিকিত্সকের কাছে। তিনি জানিয়ে দেন, কিশোরী গর্ভবতী। এরপরই ওই নাবালিকাকে চেপে ধরেন বাড়ির লোকজন। তখনই বেরিয়ে আসে সবকিছু।

    ওই নাবালিকা বাড়িতে জানায় মাস ছয়েক আগে খোলার মাঠে যাওয়ার সময় তাকে বাড়িতে ডাকে ওই প্রতিবেশী। তারপর ফাঁকা বাড়ির সুযোগ নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে প্রতিবেশ ওই কাকু। তার পর দিনের পর দিন  বিভিন্নভাবে তাকে ভয় দেখাতে থাকে, বাড়িতে বললে খুব খারাপ হবে। সেই কথা শুনেই গোটা ঘটনা চেপে যায় ওই কিশোরী। কিন্তু প্রায় ৬ মাস পার হয়ে যাওয়ার পর তার শরীরে ফুটে ওঠে মাতৃত্বের লক্ষণ। তাতেই গোটা বিষয়টি প্রকাশ্য় চলে আসে।

    গোটা বিষয়টি  বাড়ির লোকজন জানার পর প্রতিবেশী ওই ব্য়ক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিস ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। উভয়পক্ষের সওয়াল শোনার পর পক্সো আদালতের বিচারক রিন্টু সুর অভিযুক্তকে ২৫ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।

    জলপাইগুড়ি বিশেষ পক্সো আদালতের সরকারি আইনজীবী দেবাশীষ দত্ত বলেন এই মামলায় মাত্র ৮ মাসের মাথায় সাজা ঘোষনা হল।বিচারক তার রায়দানের সময় এই নাবালিকা কী ধরনের শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করেছে তা উল্লেখ করেছেন। একইসাথে এই নাবালিকা এখোনও মানসিক যন্ত্রণায় আছেন। বিচারক অভিযুক্তকে ২৫ বছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। সাথে জরিমানা। অনাদায়ে আরও দুই বছরের সাজার নির্দেশ দিয়েছেন।একইসাথে নাবালিকাকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরনের জন্য লিগাল এইড সার্ভিসকে নির্দেশ দিয়েছেন।

    উল্লেখ্য, প্রায় এরকম  এক ঘঠনা সম্প্রতি ঘটেছে হরিয়ানার রোহতকে। সেখানে বাড়ির কিশোরী মেয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার মায়ের লিভ ইন পার্টনারের হাতে।  মেয়ের পক্ষে পুলিসে অভিযোগ করেছেন তাঁর মা। সেখানে লেখা হয়েছে, ওই কিশোরীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় যাতে সে বাইরে কিছু বলে না দেয়।  

    কীভাবে গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে এল? পুলিস সূত্রে খবর, কিছুদিন ধরেই কিশোরী চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল। তেমন কথা বলত না, ঝিমিয়ে থাকত। মেয়ের ওই আচরণ লক্ষ্য় করেই সন্দেহ হয় মায়ের। অনেক জোরাজুরির পর মাকে সবকিছু বলে দেয় ওই কিশোরী। এর পরই ওই মহিলা তাঁর লিভ ইন পার্টনারের ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। 

    কিছুদিন আগে উত্তরপ্রদেশের দেউড়িয়া এলাকায় এক ব্যক্তি থাকতেন তার পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে থাকত তার ৬ বছরের মেয়েও। একদিন  তিনি দেখেন তাঁর মেয়েকে জোর করে যৌন নির্যাতন করছে তার পার্টনার। ওই দৃশ্য় দেখা মাথা খারাপ হয়ে যায় ওই ব্যক্তির। ছুরি দিয়ে তার পার্টনারের যৌনাঙ্গে কেটে নেন। 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)